ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

স্তন ক্যান্সারের চেয়ে বেশি মৃত্যু প্রোস্টেট ক্যানসারে : গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১১:৪৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বর্তমান সময়ে স্তন ক্যানসারকে সবচেয়ে ভয়াবহ মনে করা হচ্ছে। কারণ এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। স্তন ক্যানসারের চেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে প্রোস্টেট ক্যানসার। স্তন ক্যানসারে যত মৃত্যু তার চেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে প্রোস্টেট ক্যানসারের কারণে। খবর বিবিসির।
প্রোস্টেস ক্যানসার ইউকের গবেষকরা এই গবেষণা করেছেন। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাজ্যে স্তন ক্যান্সারের কারণে যত নারীর মৃত্যু হচ্ছে, প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণে তার চেয়ে বেশি পুরুষের মৃত্যু হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো এমন চিত্র উঠে এসেছে।
২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী- স্তন ক্যান্সারের কারণে যুক্তরাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৪২ জনের। আর প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮১৯ জনের।
প্রোস্টেট ক্যান্সার ইউকে বলছে, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় ভালো করার জন্য স্তন ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফিরতে সফলতা এসেছে। প্রোস্টেট ক্যান্সার নিয়ে গবেষণায় তহবিল বাড়ালে সেটিও ফলপ্রসূ হবে।
প্রোস্টেট ক্যান্সার ইউকের প্রধান নির্বাহী অ্যাঞ্জেলা কুলহেন বলছেন, স্তন ক্যান্সার নিয়ে যে পরিমাণ গবেষণা হয়েছে ও তহবিল এসেছে প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য এসেছে তার অর্ধেক।
রোগটি নির্ণয়ে এখনও সহজ কোনো পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরও রোগের কোনো উপসর্গ ছাড়া অনেক পুরুষ বহুদিন বেঁচে থাকতে পারেন। কারণ এটা অনেক সময় ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে।
গত ১০ বছরে যদিও প্রোস্টেট ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমেছে।
স্তন ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুহারে ১০ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নারীদের মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত কমছে।
অপারেশনের পর প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া গ্যারি পেটিট নামে ৪৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নাগরিক বলছেন, পুরুষদের মধ্যে এটা এখনও একটা নিষিদ্ধ বিষয়ের মতো হয়ে আছে। তারা বিষয়টার জন্য লজ্জা পায় ও বিব্রত বোধ করে। কিন্তু দরকার হলে গিয়ে চেক করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ
প্রাথমিক অবস্থায় প্রোস্টেট ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ থাকতে পারে। আর অবস্থানের কারণে এর প্রায় সবগুলোর সঙ্গে প্রস্রাবের যোগ রয়েছে।
*প্রস্রাব শুরু করতে সমস্যা হবে;
* বারবার প্রস্রাব করার দরকার হবে, বিশেষ করে রাতে;
* প্রসাবের বেগ এত বেশি হবে যে টয়লেটে দৌড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে;
*কখনও কখনও প্রস্রাবের গতি কম থাকবে বা প্রস্রাব করতে বেশি সময় লাগবে;
* প্রস্রাব পুরোপুরি হলো না- এমন একটা অনুভূতি থাকতে পারে।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি