স্ত্রী-শ্বশুর হত্যায় যুবক গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১৫:৪১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্ত্রী রাশেদা আক্তার (২২) ও তার বাবা আবুল বাশার ওরফে বাদশাকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা ও শাশুড়ি আঙ্কুরি বেগমকে (৪৫) আহত করার অভিযোগে ঘাতক জাকির হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে কমলনগর উপজেলার করুনানগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ভিকটিম বাদশা মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে সুমনের নামে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত বাদশা মিয়া পেশায় ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। নিহত রাশেদা তার একমাত্র মেয়ে।
ভিকটিম রাশেদা ও ঘাতক সুমনের ঘরে জিহাদ নামে তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। ঘাতক সুমন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে এ দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিয়ের পর থেকেই সুমন তার শ্বশুর আবুল বাশারের কাছ থেকে যৌতুক দাবি করতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে অশান্তি চলছিল। এ কারণে প্রায় ৫ মাস আগে রাশেদার সঙ্গে সুমনের ছাড়াছাড়ি হয়। মাস খানেক আগে রাশেদাকে পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সুমন। এর জেরে রাশেদার বাবার বাড়িতে এসে আবুল বাসার, আঙ্গুরি বেগম, রাশেদা ও দাদি আমেনা বেগমকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন সুমন। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা আবুল বাশারের মৃত্যু হয়৷
রাশেদার মা আঙ্গুরি বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, ঘাতক সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন