ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৭, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রুহুল ইসলাম খান শুনানি করেন। পরে আদালত আদেশ দেন। 

আবেদনে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে রাকিবুজ্জামানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।

দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাঁরা যেকোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে পারেন। তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। অন্যদিকে মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে রংপুর কর অঞ্চলে দাখিল করা আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির মধ্যে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, তাঁর স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা ও ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রথম মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকার সম্পদ অবৈধ অর্জন এবং ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তাঁর স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম ও নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাবের ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। আর তৃতীয় মামলায় নুরুজ্জামানের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তাঁর ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদকে।

এ মামলায় বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে অসংগতিহীন ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং রাকিবুজ্জমানের নিজ নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি