স্থানান্তরের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অধিকাংশ জায়গা হবে সবুজ উদ্যান
প্রকাশিত : ১০:২৯, ৮ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৪:২৮, ৮ এপ্রিল ২০১৬
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নাজিমউদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর সবুজ উদ্যান হিসেবে গড়ে তোলা হবে এর অধিকাংশ জায়গা। এছাড়া, আধুনিক ভবনে নির্মাণ করা হবে সিনেপ্লেক্স আর শপিং মল। তবে, ইতিহাসের সাক্ষি হিসেবে থাকছে বঙ্গবন্ধু আর জাতীয় চার নেতার স্মৃতি জাদুঘর। পুরো অঙ্গন কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে উন্মুক্ত করা হবে সাধারণ মানুষের জন্য।
১৭৮৮ সালে ব্রিটিশ শাসনের সময় একটি ভবনে যাত্রা শুরু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের। এরপর কেটে গেছে ২শ’ ২৮ বছর। পার হয়েছে ব্রিটিশ আর পাকিস্তানীদের শাসন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশও পেরিয়েছে অনেকটা সময়। মোট ১৭ একর জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই কারাগার।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দীর্ঘ সময় কেটেছে স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বন্দী থাকা অবস্থায় কারগার প্রাঙ্গনে লাগিয়েছিলেন কামিনী গাছ। জাতির জনকের স্মৃতিবিজড়িত স্থানে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টে জাতির জনককে হত্যার পর এই কারাগারের তিনটি কক্ষে বন্দী করে রাখা হয়েছিলো জাতীয় চার নেতাকে। সেখানেই তাদের হত্যা করে ঘাতকেরা। জাতীয় চার নেতার স্মৃতিচিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী সেলের চারপাশে। এখানেও গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর।
তবে, এ’সব জায়গা কারাগারের ভেতরে হওয়ায়, তা অদেখাই থেকে গেছে সাধারণ মানুষের।
কারাগার স্থানান্তরের পর ইতিহাসের এ’সব সাক্ষী উন্মুক্ত করা হবে সাধারণের জন্য। এছাড়া নির্মিত হবে, কারা জাদুঘর।
খোলা প্রাঙ্গনে গড়ে তোলা হবে সবুজ উদ্যান। আর বহুতল ভবন নির্মাণ করে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে রাজধানীবাসীর। এ’সব তত্ত্বাবধান করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগার স্থানান্তরের ফলে পুরনো ঢাকাবাসী যানজট আর ঘিঞ্জি অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে বলে আশা তাদের।
আরও পড়ুন