ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

স্থূলতা অনেকটা টাইম বোমার মত আতঙ্ক : বিশ্বব্যাংক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২২, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মুটিয়ে যাওয়া বা স্থূলতা এখন শুধু একার সমস্যা নয়। স্থূলতা ইতিমধ্যেই একটি বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের ৪৪ শতাংশই মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছে। যা অনেকটা টাইম বোমার মত। যা স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশে এটি মহামারির মতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক সমিক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

এক হিসাবে সংস্থাটি বলছে, সব মিলিয়ে বিশ্বে স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা ২০০ কোটির বেশি, যার ৭০ ভাগের বসবাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। একসময় মনে করা হতো মুটিয়ে যাওয়া উন্নত বিশ্বে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বেশি। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশে এটি মহামারির মতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘স্থূলতা-স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে এর ফলাফল এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থূলতার ফলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বে মুটিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। প্রতিবছর ৪০ লাখ মানুষ শুধু অতিরিক্ত ওজনজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করছে।

এই মুটিয়ে যাওয়া নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তবে বাংলাদেশকে ‘মডারেট’ তালিকায় রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মুটিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা গ্রামাঞ্চলে বেড়েছে ৫৫ ভাগ। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে অক্ষমতা, উত্পাদনশীলতা কমার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, চীনে ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল মেয়াদে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের শূন্য দশমিক ৫৬ থেকে ৩ দশমিক ১৩ ভাগে বাড়াতে হয়েছে মোটা মানুষের সেবার জন্য। ব্রাজিলে ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। বর্তমান বিশ্বে আফ্রিকা বাদে বিশ্বের সব অংশে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা সংশ্লিষ্ট অসংক্রামক ব্যাধির ফলে মৃত্যুর কারণ শীর্ষ তিনটির একটি। তবে অবাক বিষয় হলো অপুষ্টির কারণে বিশ্বে খর্বাকায় শিশুদের সংখ্যা খুব ধীরে কমছে।

বিশ্বের অনেক দেশই এখন স্থূলতা ও অপুষ্টি উভয় সমস্যায় রয়েছে। একে চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি