স্বজনরা লাশ পাবেন কিভাবে?
প্রকাশিত : ১৯:২০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
পুরানো ঢাকার চকবাজার এলাকায় অগ্নিদূর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৮১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।
তিনি বলেন, আমরা আগে বলেছিলাম ৭০ জন নিহত হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত বিভিন্ন খবরে বুঝা যাচ্ছে নিহতের সংখ্যা ৮০ বা ৮১ হতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ একটি ডেড বডির জায়গায় দু-তিনটি ডেড বডিও রাখা হয়েছে।
এখন স্বজনরা ভীড় জমাচ্ছেন তাদের প্রিয়জনের লাশটি গ্রহণ করতে। কিন্তু কিভাবে সে লাশ গ্রহন করা সম্ভব? ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা: সোহেল মাহমুদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যেসব লাশ তাদের স্বজনরা সহজেই সনাক্ত করতে পারছেন সেগুলো আজই যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু যাদের সনাক্ত করা যাচ্ছেনা তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে। যদি সেটিতে সনাক্ত হয়ে যায় তাহলে সেগুলোও স্বজনরা গ্রহণ করতে পারবেন।
কিন্তু যেসব লাশ একেবারেই সনাক্ত করা যাচ্ছেনা সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার পর দেয়া হবে এবং এজন্য কিছুটা সময় লাগবে।
গত রাত সাড়ে ১০টার পরে পুরনো ঢাকার চকবাজারে শাহী মসজিদের কাছে `ওয়াহিদ ম্যানসন` নামের একটি ভবনে আগুন লাগার পর তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ শুরু করে তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত কিছু বলেনি কর্তৃপক্ষ।
২০১০ সালের জুনে পুরনো ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের কারখানায় আগুন ধরে ১২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর পুরনো ঢাকার আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের কারখানা বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ফায়ার সার্ভিসের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে ৮৮ হাজার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রাণহানি হয়েছে ১৪০০ জন, আহত হয়েছে অন্তত ৫০০০ মানুষ।
সূত্র-বিবিসি
আরকে//
আরও পড়ুন