ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বজনের খোঁজে ডেনমার্ক থেকে ঢাকায় ডালিয়া(ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২০:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

ডেনমার্কে যাওয়ার আগে, ডেনমার্কে যাওয়ার পর ও ডেনমার্কে এখন ডালিয়া।  ছবি: সংগৃহীত

ডেনমার্কে যাওয়ার আগে, ডেনমার্কে যাওয়ার পর ও ডেনমার্কে এখন ডালিয়া। ছবি: সংগৃহীত

স্বজনের খোঁজে ৪২ বছর পর ডেনমার্ক থেকে ঢাকায় এসেছেন ডালিয়া। ১৯৭৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মগবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ডালিয়াকে এক পথচারী ভর্তি করে হলি ফ্যমিলি হাসপাতালে। ১৫ দিন পর সুস্থ হলে ডালিয়ার কোন অভিভাবক না পাওয়ায়, তাকে একটি এতিমখানায় দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে ডেনমার্কের এক দম্পতি দত্তক নেয় ডালিয়াকে। সেখানে তার নাম রাখা হয় ডালিয়া রানতজাউ মাথিয়াসেন। এখন তিনি চার সন্তানের জননী ও ডেনমার্কে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

সম্প্রতি ডেনমার্কে নিজের ডিএনএ পরীক্ষা করান ডালিয়া। তার ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্য বাংলাদেশে তার স্বজনদের খুঁজে পাওয়া। এদিকে লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ানা ইসলাম কৌতূহলবশত নিজের ডিএনএ পরীক্ষা করান। বাবা মো. রেজওয়ানুল ইসলামের সঙ্গে লন্ডনে থাকেন তিনি।

ডালিয়া জানান, নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংগঠন শাপলা এনএল-এর মাধ্যমে তিনি নিজের ডিএনএ পরীক্ষা করান। শাপলা গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশ থেকে দত্তক যাওয়া ব্যক্তিরা। হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের খুঁজে দিতে সংগঠনটি বিনা খরচে ডিএনএ পরীক্ষা করে তা ম্যাচিংয়ের ব্যবস্থা করে। আর তাতেই লন্ডনে অবস্থানরত রেজওয়ানা ইসলামের সঙ্গে ডেনমার্কের ডালিয়ার ডিএনএর মিল ধরা পড়ে বলে জানা যায়।

তাদের দুজনের ডিএনএ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এঁরা দুজন ‘থার্ড কাজিন’। অর্থাৎ তারা দুজনই কোনো ব্যক্তির পুতি (নাতি/নাতিনের সন্তান)। এ তথ্য জানার পর ডালিয়া গত জুনে লন্ডনে গিয়ে রেজওয়ানার সঙ্গে দেখা করেন।

একই দিন বৃহস্পতিবার দুজনই এসেছেন ঢাকায়। ডালিয়া তার দত্তক মাকে নিয়ে ডেনমার্ক থেকে আর রেজওয়ানা লন্ডন থেকে। রেজওয়ানার মা সৈয়দা ফাহলিজা বেগম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

অধ্যাপক ফাহলিজা জানান, আমার নানা শ্বশুর এবং তার স্বজনেরা মগবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। ডালিয়ার দুর্ঘটনাও ঘটেছিল মগবাজার এলাকায়। সে ক্ষেত্রে একটা যোগসূত্র অনুমান করা যায়। ফাহলিজা বেগম আরও জানান, আরেকটি বিষয় হচ্ছে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের ফল অনুযায়ী ডালিয়ার ডিএনএর সঙ্গে রেজওয়ানার বাবার দিকের ডিএনএ মিলেছে। এরপর থেকে নিজেদের আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে ডালিয়ার মা-বাবা, দাদা-দাদিকে খোঁজাখুঁজি করেছেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু জানতে পারেননি।

অধ্যাপক সৈয়দা ফাহলিজা বেগম বলেন, কাউকে খুঁজে না পেলেও ডালিয়া আমাদের স্বজন। কারণ, ডিএনএর প্রতিবেদন মিথ্যা হওয়ার সুযোগ নেই।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি