স্বপ্নের ঠিকানার সন্ধানে আবাসন মেলায় ভিড়
প্রকাশিত : ১২:৩৪, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
ঢাকা শহরে একটি বাড়ি করার স্বপ্ন কার না থাকে ! নিজের মতো করে একটি বাড়ি বানিয়ে নিজের মতো করে থাকার আকাঙ্খা সবারই থাকে। রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আবাসন মেলা ২০১৭-তে আপন স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজতে তাই আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সকাল ১০টায় মেলার প্রবেশদ্বার খোলার আগেই ক্রেতাদের আগমন ঘটে। শীত উপেক্ষা করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিও।
মেলায় শুধু রাজধানীবাসীই নন, ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও এসেছেন অনেক ক্রেতা-দর্শক। এখানে কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, আবার কেউ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের আগমনও। স্বপ্নের আপন ঠিকানার সন্ধানে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরে ঘুরে দেখছেন ক্রেতা-দর্শনার্থী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে উপস্থাপন করছেন ভবনের নকশা, রেপি ফ্লাট আর প্লটের লোকেশন। তুলে ধরছেন মেলা উপলক্ষেতাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তথ্য। এবারের মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের বিপুল আগ্রহকে কেন্দ্র করে আবাসন খাত দীর্ঘদিনের খরা থেকে বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করেন রিহ্যাব নেতারা।
ছুটির দিনে মেলাতে ক্রেতার সমাগম যেমন বেশি, তেমনি প্লট বা ফ্ল্যাট বিক্রির পরিমাণও মন্দ নয়। আয়োজক রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলায় শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ক্রেতা-দর্শনাথীর উপস্থিতি আশা করেছিলো ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের সে আশা পূরণ হয়েছে। আশা করছি শনিবারও বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থী। তিনি বলেন, এখানে সাদ এবং সাদ্যের মধ্যেই ফ্ল্যাট, প্লট কিনতে পারবেন ক্রেতারা। প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যম আকারের চাহিদাই বেশি।
মেলায় অনেকেই আসছেন, ঘুরে দেখছেন। কেউ প্লট বুকিং দিচ্ছেন আবার ধারণা নিচ্ছেন কোথায় কোন প্রকল্প রয়েছে। খোঁজ নিচ্ছেন কোন কোম্পানি কোন লোকেশনে কী প্রজেক্ট নিয়ে এসেছে। কোন কোম্পানি কী ধরনের সুবিধা দিচ্ছে, প্রজেক্টগুলো রাজউকের অনুমোদন আছে কি-না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ঢাকা থেকে পরিবারসহ মেলায় এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা সিহাব উদ্দীন। তিনি জানান, রাজধানীতে নিজের ও পরিবারের লোকজনের একটি মাথাগোঁজার ঠাঁই খুঁজতেই মেলায় এসেছেন। আমার পরিবার খেতে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য। কিন্তু সামর্থ্যের মধ্যে না থাকায় সম্বভ হয়নি। এখন ঋণ নিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনা যায় কিনা, তা যাচাই করতেই মেলায় এসেছি। তিনি জানান, মেলায় বিভিন্ন কোম্পানির স্টলে ঘুরছি। এ সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবো।
এদিকে মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলায় প্লট বা ফ্ল্যাট বিক্রির পরিমাণ প্রথম দিনের তুলনায় শুক্রবার বেশ ভালো।
ডোম-ইনোর সিনিয়র নির্বাহী জহিরুল ইসলাম জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) মেলার উদ্বাধন উপলক্ষে তেমন সাড়া না পেলেও আজ ভাল সারা পাচ্ছি। সামনের দিনগুলোতেও আরো ভাল হকে বলে আশা করছি।
আর/এমআর
আরও পড়ুন