ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতার পর যে গ্রামটি ‘বিধবা গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পায়

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০০, ২৬ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১০:০৯, ২৬ মার্চ ২০২৪

মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৪ মে নাটোরের ধলা গ্রামের দেড়শতাধিক মানুষকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদাররা। পরে দেয়া হয় মাটিচাপা। একদিনে বিধবা হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩৩ জন নারী। স্বাধীনতার পর ধলা গ্রামটি ‘বিধবা গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পায়। শহীদ পরিবারের স্বীকৃতির দাবি সেদিন প্রাণ হারানোদের স্বজন ও মুক্তিযোদ্ধাদের।  

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের পর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যোগাযোগ সুবিধার কারণে নাটোরে ছিল হানাদার সেনাদের ২ নম্বর সামরিক সেক্টরের সদরদপ্তর। এখান থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করতো তারা।

পহেলা মে- সকাল তখন ১১টা। নাটোরের লালপুরের ধলা গ্রামে হামলা চালায় পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরা। পুড়িয়ে দেয়া হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি।

প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবার আশ্রয় নেয় বনপাড়া ক্যাথলিক মিশনে। তবে হয়নি শেষ রক্ষা। 

৩ দিন পর ৪ মে পাকিস্তানী সেনারা মিশন থেকে দেড়শতাধিক মানুষকে দুটি ট্রাকে করে নাটোরের ফতেঙ্গা পাড়ায় নদীর পাড়ে নিয়ে আসে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে তাদের।

এদিন ধলা গ্রামের ৩৩ গৃহবধূ বিধবা হন। স্বাধীনতার এত বছর পরও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি না মেলায় ক্ষোভ ঝরছে স্বজনদের কণ্ঠে।

শহীদ পরিবার হিসেবে স্বীকৃতির দাবি স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরও।   

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি