স্বামীর রডের আঘাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর, মেয়ে আহত
প্রকাশিত : ১০:০৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চুয়াডাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে রড দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রী নয়নতারা (৩৫)কে হত্যা করেছে স্বামী আনোয়ার হোসেন। তাদের একমাত্র মেয়ে ৮শ শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস টুনিকে (১৬) রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তার বাবা। ঘটনার পরপরই হত্যাকারী আনোয়ার হোসেন পালিয়ে যায়।
সোমবার রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া কলোনীপাড়ায় ঘটে এ ঘটনা। নিহত নয়নতারা একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। আহত টুনিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিছুজ্জামান লালন বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হতো না। তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। কলহের জেরে নয়নতারা বেশ কিছুদিন আগে তার বাবার বাড়ি মেহেরপুরের জতারপুর গ্রামে চলে যায়। সোমবার সন্ধার দিকে নয়নতারা তার বাবার বাড়ি থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসেন। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ সময় আনোয়ার হোসেন তার স্ত্রীর ঘরের দরজা খুলতে বলেন। নয়নতারা ঘরের দরজা খুললে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন ঘরে থাকা রড দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পরই মেয়ে টুনিকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে আনোয়ার হোসেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই হত্যাকারী আনোয়ার হোসেন পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। নয়নতারার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌসকে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। রডের আঘাত তার মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ৭টা সেলাই দিতে হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন