ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

স্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারালেন তারা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:০৭, ৯ জানুয়ারি ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা ও মাহমুদা বেগম ভোটে তাদের স্বামীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু জামানত রক্ষা করতে পারেননি তারা।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে লুবনা ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে মাহমুদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলাফলে এ দুই নারী প্রার্থীই নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী জামানত হারিয়েছেন। 

লুবনা ৩৪৫ ভোট ও মাহমুদা ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। জামানত হারালেও তাদের স্বামীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।লক্ষ্মীপুর-২ আসনে লুবনার স্বামী নুরউদ্দিন চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মাহমুদার স্বামী আবদুল্লাহ ঈগল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। 

স্বামীর বিজয়ে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছাও পাচ্ছেন স্ত্রীরা।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকা মার্কায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এ আসনেই তার স্ত্রী লুবনা পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট। নয়নের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের সেলিনা ইসলামও জামানত হারিয়েছেন। তিনি ৯ হাজার ২৮ ভোট পেয়েছেন। 

অন্য ১০ প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির আবদুল্লাহ আল মাসুদ ৩২০ ভোট, ট্রাক প্রতীকের এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ ৯০৩ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির জহির হোসেন ৩৫২ ভোট, জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু ২ হাজার ৩৮৬ ভোট, মশাল প্রতীকের আমির হোসেন ২৩৯ ভোট, ছড়ি প্রতীকের ইমাম উদ্দিন সুমন ৭১ ভোট, হাতঘড়ি প্রতীকের ফরহাদ মিয়া ৩২৮ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর রহমান দাদন গাজী ৮৮ ভোট, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোরশেদ আলম ৫৪৫ ভোট ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শরীফুল ইসলাম ৬০১ ভোট পেয়েছেন। 

এর মধ্যে ভোটের একদিন আগে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর ও ছড়ি প্রতীকের সুমন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। লুবনাসহ এ আসনে ১২ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে ভোট করে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। আবদুল্লাহর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) সহসভাপতি মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট। 

আসনটির অন্য ৩ প্রার্থীর মধ্যে ট্রাক প্রতীকের ইস্কান্দার মির্জা শামীম ৭ হাজার ৪৭৪ ভোট, রকেট প্রতীকের আবদুস সাত্তার পালোয়ান ৬৪৯ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মাদ ছোলায়মান ৩২০ ভোট পেয়েছেন। মাহমুদাসহ এ আসনে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, জামানত বাজেয়াপ্ত নিয়ে এখনও কাজ শুরু করিনি। তবে যারা পর্যাপ্ত ভোট পাননি, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি