ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবা নিতে পদে পদে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫০, ২১ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩১, ২২ এপ্রিল ২০১৮

স্বাস্থ্যসেবা খাতে সরকার প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা খরচ করলেও সেবা নিতে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দালালদের দৌরাত্ব, ভুল চিকিৎসায় অকালে প্রাণ হারানোসহ হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এদিকে, সেবার পরিবর্তে বেসরকারি হাসপাতালগুলো চলছে বাণিজ্যিক মনোভাব নিয়ে।

ক্ষেত্র বিশেষে অনিয়ম থাকলেও গেলো কয়েক বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাতে। সেই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর রোল মডেল। কিন্তু, সরকারের এতো উদ্যোগের পরও কিছু কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স আর কর্মচারির কারণে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু হয় হয়রানি। যেখানে সরকারি খরচে প্রাথমিক ব্যান্ডেজ দেওয়ার কথা, সেখানে প্রতি রোগীর কাছ থেকে নেওয়া হয় পাঁচ শতাধিক টাকা। ট্রলি প্রতি দুইশ’ আর প্রতি ড্রেসিংয়ের সময় দুইশ’ টাকা দিতে হয়। বেড পাওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।

দালাল চক্র, মানুষের ভোগান্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অসংগতির কথা স্বীকার করে হাসপাতালের যুগ্ম পারিচালক আব্দুল সালাম বললেন, মানুষের দুর্দশা লাগবের চেষ্টা চলছে।

আর সেবার পরিবর্তে পুরোপুরি বাণিজ্যিক মনোভাব নিয়ে চলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। তেমনই একটি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। রোগী ভর্তির পর থেকেই এখানে শুরু হয় চিকিৎসার নামে ব্যবসা।

মানুষের এসব অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল। অবহেলা, আর চিকিৎসকদের ভুলে প্রথম সন্তান লাশ হয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন এক মা। তাসনিমা তারান্নুম নোভা নামের এই নারী জানালেন, স্কয়ার হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির আগ্রহ প্রকাশ করায় চিকিৎসকের আক্রোশের শিকার হতে হয় তাকে।

ভুল চিকিৎসা আর অবহেলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্কায়ার হাসপাতালে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।

রাজধানীর ক্যান্সার হাসপাতাল নিজেই যেন ক্যান্সারে আক্রান্ত। পাবনার কৃষক আমির হোসেন পেটে টিউমার নিয়ে চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে আসেন কয়েকদিন আগে। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ভর্তিই হতে পারেননি তিনি। সাধারণ মানুষদের এমন হয়রানির শিকার হতে হয় এখানে।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিচালকের কাছে যেতে চাইলেও ভেতরে যেতে দেয়নি গেইটম্যান।

স্বাস্থ্য সেবায় অনিময়মের বিষয়ে কথা বলার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে গেলেও মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদকে পাওয়া যায়নি।

আইনের সংশোধন, অপরাধীর কঠোর শাস্তি আর চিকিৎসকদের মধ্যে দায়িত্বশীলতার অনুভূতি বাড়ানোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

একে// এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি