স্বৈরাচার পতন দিবস আজ
প্রকাশিত : ০৮:৩৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৫৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
আজ ৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন দিবস ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় গণতন্ত্র। ১৯৮২ সালের এই দিনে এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন।
১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকেই ছাত্রসমাজ শুরু করে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। দীর্ঘ আট বছর ধরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলতে থাকে রাজপথে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দলীয়, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দলীয় এবং বাম দলগুলোর পাঁচ দলীয় জোট সম্মিলিতভাবে ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে।
আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, ডা. মিলনসহ নাম না জানা অনেক অকুতোভয় মানুষ।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বোধীন জোটের টানা কর্মসূচির কারণে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এরশাদ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিবসটি পালন করে ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। বিএনপি পালন করে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। আর এরশাদের দল জাতীয় পার্টি (জাপা) দিবসটি পালন করে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে।
জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এক বিবৃতিতে আজ ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ পালনের জন্য দলের জেলা ও উপজেলাসহ সর্বস্তরের কমিটিকে অনুরোধ করেছেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বই পরবর্তী দুই দশকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
দিনটি সামনে রেখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণীতে বলেছে, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পৃথক কর্মসূচি পালন করবে।
এসএ/