স্মার্ট-মানবিক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০১, ৮ এপ্রিল ২০২৩
অনেকটাই বদলেছে ঢাকা রেঞ্জের ৯৬ থানার সেবার মান। ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তথ্য প্রযুক্তির সর্ব্বোচ্চ ব্যবহারে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। শৃংখলাভঙ্গসহ নানা অভিযোগে ২শ’রও বেশি পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় একুশের ক্যামেরা। ধরা পড়লো এক নারীর থানায় প্রবেশের দৃশ্য। তাকে অনুসরন করে নিশ্চিত হওয়া গেলো আইনগত সহায়তার জন্য তিনি থানায় এসেছেন। কিন্তু কেমন ছিল এই থানার সেবার মান?
তিনি জানান, দেশের নাগরিক হিসেবে এখানে এসেছি। সর্বোচ্চ সেবার দেবার চেষ্টা করছেন তারা।
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের সদর দপ্তর। এই যুবক ডাকাতি মামলার বাদী। মামলার অগ্রগতি ও পুলিশি সেবার মান জানতে ডাকা হয়েছে তাকে।
যুবক জানান, ডিবি পুলিশ নামে ওরা পরিচয় দেয় দিয়ে সার্স করে এবং আহত করে সবকিছু নিয়ে যায়। মামলার আইও চেষ্টা করছেন আসামি ধরার জন্য।
এই কার্যালয়ের সিসিটিভি কন্ট্রোল কক্ষ থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয় ১৩ জেলার ৯৬ থানার কার্যক্রম।
ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা জেলার একটি থানায় আসা এক নারী জানান, পাচীরকারীদের কবলে পড়েছে তার সন্তান। সঙ্গে সঙ্গেই আইনগত পদক্ষেপ নিতে ডিউটি অফিসারের প্রতি ডিআইজির নির্দেশনা।
ডিআইজি জানান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক কর্মকান্ডে আরও গতি আনা হচ্ছে।
ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “ক্যামেরাগুলো থেকে আমরা লাইভ মনিটরিং করে থাকি যে, আমাদের অফিসার সেবা প্রত্যাশিদের কি ধরনের সার্ভিসটা দিচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখছে কিনা, তারা কি ধরনের ব্যবহার করছে, প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে কিনা। ক্যামেরাগুলো থেকে লাইভ ফটো এবং ভয়েসও নেওয়া হচ্ছে।”
অভিযোগ পেলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “কাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, অবহেলা আছে, অন্যায় আছে অথবা ব্যক্তিস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে ১৩ জেলার ২৩০ জন ফোর্সের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান আছে। এর মধ্যে অনেকটাই শাস্তিযোগ্য।”
ঢাকা রেঞ্জের আওতায় ১৩ জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি।
এএইচ