ঢাকা, শুক্রবার   ১০ জানুয়ারি ২০২৫

স্মার্টফোন, না কি জুয়ার মেশিন!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৩, ২ মে ২০১৮

২০১৩ সালে ক্লেইনার পার্কিন্সের এক জরিপ অনুযায়ী প্রতিদিন একজন মানুষ গড়ে ১০০-১৫০ বার তার মোবাইল ফোন চেক করতো। ৩ বছরের মাথায় ২০১৬ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৭ বারে!

আমেরিকান শিশু-কিশোরদের ৯২ ভাগই প্রতিদিন অনলাইনে যায়। প্রতি ৫ জনে ১ জন কিশোর গভীর রাতে ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে শুধু এটা দেখার জন্যে যে, তার মোবাইলে নতুন কোনো মেসেজ এসেছে কি না। (জার্নাল অব ইয়ুথ স্টাডিজ)

একজন পূর্ণ বয়স্ক কানাডিয়ান গড়ে দিনে দু’ঘণ্টা সোশাল মিডিয়ায় কাটায়। আর শিশুকিশোররা কাটায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। তার মানে, আজ যে শিশুর বয়স ৮, সে তার জীবনের ১৫টি বছরই কাটিয়ে দেবে অন স্ক্রিনে।

পৃথিবীতে ফেসবুক ব্যবহার করছে এখন ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ। নিজের স্মার্টফোনে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা স্ন্যাপচ্যাট নেই এমন তরুণ-তরুণীকে বোধ হয় আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেসবুকে নাকি প্রতিদিন আমরা ১৮০ কোটি ছবি আপলোড করি!  

গত দুই দশকে স্মার্টফোন এবং এখানে রাখা যায়, এমন সব যোগাযোগ ও ম্যাসেজিং অ্যাপ আমাদের জীবনকে কতটা প্রভাবিত করেছে, তার কিছু নমুনা পাওয়া যায় এ তথ্যগুলোতে!  

কিন্তু পৃথিবীব্যাপী এ তথ্যগুলো কি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা? মোটেই না। বরং সিলিকন ভ্যালির গুটিকয় চতুর প্রোগ্রামার একসাথে মিলে সব জেনে বুঝেই এই ফোন, অ্যাপ এবং সোশাল মিডিয়ার সাইটগুলোকে এমনভাবে তৈরি করছে, যা সাধারণ মানুষকে এটা ব্যবহারে আসক্ত করে ফেলছে।

টিআর/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি