স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার কেড়ে নিবে দৃষ্টিশক্তি
প্রকাশিত : ১৪:০৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ০৯:২৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
যুবকসহ সব বয়সীর হাতের মুঠোয় নিত্যসঙ্গী স্মার্টফোন। টাচ স্ক্রিনে অবিরাম আঙুলের স্পর্শে চলছে মেসেজ, ভিডিও গেম খেলা, খবর বা ছবি তোলা।
চিকিৎসকদের দাবি, প্রযুক্তির এই লাগামছাড়া ব্যবহারই শারীরিক সমস্যা ডেকে আনছে। অতিরিক্ত ‘টাচ’ ফোন ব্যবহারের জন্য কনুই, চোখ, ঘাড়ের নানা সমস্যায় ভুগছেন ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা। বিগত পাঁচ বছরে এই ভুক্তভোগীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বে়ড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত ভাঁজ করে অতিরিক্ত সেলফি তুললে কনুইয়ের কাছে ব্যথা হতে পারে। চিকিৎসকেরা একে ‘সেলফি ড্যামেজ’ বলছেন। অত্যধিক ‘টাচ’ ফোন ব্যবহারের কারণে অনেকের বুড়ো আঙুলের স্নায়ুগুলো ঠিক মতো কাজ করে না।
ভারতের স্নায়ুশল্য বিভাগের চিকিৎসক এস কে সাহা বলেন, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে স্নায়ুর সমস্যাও হচ্ছে। ফোন থেকে এক ধরণের রশ্মি নির্গত হয় যা শুধু হাত নয়। সারা শরীরের স্নায়ুর পক্ষে ক্ষতিকর।
হাতের পাশাপাশি এটির ব্যবহার চোখ এবং ঘাড়ের ক্ষতি করছে। দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নীচু করে ভিডিও গেম খেলার বা সিনেমা দেখার জেরে ঘাড়ের যন্ত্রণায় ভুগছেন অনেকেই।
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময় মোবাইলের উজ্বল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। এর ফলে মাথা ব্যথা হয়, চোখের চারপাশ ভারী হয়ে যায়। পাশাপাশি, চোখের পলক পড়া কমে যায়।
এর কারণ, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় নিয়ম মতো চোখের পলক পড়ে না। এতে চোখের সামনের ঝাপসাভাব বাড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অবস্থায় অনেককে কাজের জন্য দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ২০ ফুট দূরের কোনও জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে পারলে চোখের সমস্যা কমবে।
//আর//এআর
আরও পড়ুন