স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়ার ৬ কারণ
প্রকাশিত : ১২:৫৬, ১১ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৫:২৩, ১২ জুন ২০১৭
অ্যালঝেইমার মস্তিস্কের এক ধরনের রোগ। এ রোগের কারণে মানুষের স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এ রোগে স্নায়ুকোষ, তথ্যবাহী স্নায়ুতন্তু ও স্নায়ুসংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। মস্তিস্কের যেসব স্থানে স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে সেগুলিই প্রধানত আক্রান্ত হয় এই রোগে।
হতাশার কথা হচ্ছে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার তেমন কোনো কার্যকর উপায় এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তবে সচেতন হলে স্মৃতিভ্রংশ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর ভালো থাকলে তবেই সুস্থ থাকবে মস্তিষ্ক। সুস্থতার জন্য সুষম খাবার খাওয়া ও নিয়মিত শরীরচর্চার উপর জোর দিয়েছেন তারা। মস্তিষ্ক কর্মক্ষম রাখার জন্য শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক সুস্থতাও।
কেন হয় অ্যালঝেইমার?
নিয়মিত ঘুম না হলে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। দীর্ঘদিন ধরে যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তাদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
সম্প্রতি বৃদ্ধদের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রাকৃতিক দূষণের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেছেন তাদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার হার বেশি। তাই স্মৃতিশক্তি বাঁচাতে চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ।
খাদ্যাভ্যাসের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। অতিরিক্ত খাওয়া অথবা প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া স্মৃতি নষ্টের কারণ হতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে একাকীত্ব ও হতাশায় ভুগলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বেশ কিছু গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে স্মৃতি হারানোর প্রবণতা বেশি।
অতীতে পরিবারের কারোর স্মৃতি হারানোর ইতিহাস থাকলে অনেক সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। এজন্য যাদের পরিবারে এ ধরনের ইতিহাস রয়েছে, মস্তিষ্কে চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ থেকে তাদের বিরত থাকা জরুরি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।