সৎপরামর্শ, অপরের দুঃখে ব্যথিত হওয়া, দোয়া করাই দান
প্রকাশিত : ২২:১৮, ১১ এপ্রিল ২০২০
ইসলামকে বলা হয় শান্তির ধর্ম। নবী করিম (স:) সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। মুসলামানদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরআনেও শান্তির কথা, সৎপথে চলার কথা, মানবিকতার কথা, সৎকর্মের কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সৎকর্মে কে অগ্রগামী তা পরীক্ষার জন্য তিনি জীবন সৃষ্টি ও মৃত্যুর ব্যবস্থা করেছেন।
বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। উদার ধার্মিক হিসেবেই এখানকার মানুষ সমধিক পরিচিত। ধর্মচর্চার পাশাপাশি অসহায়দের বিপদে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, আল্লাহতে সমর্পন এখানকার মানুষদের স্বাভাবজাত বিষয়। এসব বিষয়ে আলেম, মৌলানাদের ওয়াজ খুবই সমাদৃত। কিন্তু এখন যেন সেগুলোর দেখা মিলছে না। মসজিদ বন্ধ বলে আলেমদের দেখাও মিলছে না তেমন। কিছু কিছু মাওলানা ইউটিউবে পরস্পরকে গালমন্দ করতেই যেন বেশি নিয়োজিত।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ডক্টর মোস্তাক আহমেদ বলেন, এই দুর্যোগ মোকাবেলায় এই মহামারীর সময়ে আমাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, সবরের সাথে থাকতে হবে। মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে না পারলে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত ঘরে বসে পালন করাই শ্রেয়।
তিনি বলেন, এই যে আমি মসজিদে যেতে চাচ্ছি, কিন্তু মহামারী আমাকে যেতে দিচ্ছে না, ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে, সবর করে থাকতে হচ্ছে। এটাই আমার জন্য জিহাদের সওয়াব। যেহেতু মহামারীটা এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, তাই এই সময় আমরা কোনো আনুষ্ঠানিকতার দিকে যাবো না। এমনকি দুইজন তিনজন একত্রিত হওয়া কোনক্রমেই কাম্য নয়।
ডক্টর মোস্তাক আহমেদ আরও বলেন, এই দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য গভীর রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে, চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে পানাহ চাইতে হবে। কারণ, দয়ালু আল্লাহ মানুষের চোখের পানি খুবই পছন্দ করেন এবং তা অবলীলায় কবুল করে নেন। রোনাজারি কবুল করেন।
এনএস/