সড়ক অবকাঠামোতে পরিবর্তন হলেও কমছে না দুর্ঘটনা
প্রকাশিত : ১১:০২, ২১ জানুয়ারি ২০২৪
দেশের সড়ক অবকাঠামোতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসলেও কমছে না দুর্ঘটনা। গবেষকরা বলছেন, সড়ক-মহাসড়ক তৈরির আগে গবেষণা না করাসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, টেকসই উন্নয়নের জন্য সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর কোন বিকল্প নাই। অন্যদিকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সড়কে শৃংখলা ফেরানোর কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
প্রতিবছর সড়ক ও মহাসড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঝরে যায় হাজারো প্রাণ। অঙ্গহানি ঘটে অনেকের।
২০২৩ সালে যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে সারাদেশে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৭ হাজার ৯০২ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৬ হাজার ৯১১টি দুর্ঘটনার নিহত হয় ৬ হাজার ৪২৪ জন। আর বিআরটিএ বলছে, ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫ হাজার ২৪ জন। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী ৫ হাজার ৯৩টি দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৪৭৫ জন নিহত হয়েছে।
সড়কে নির্মাণজনিত ত্রুটি, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা, দক্ষ চালকের অভাব, যাত্রী ও পথচারীদের আইন না মানায় দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কোনো গবেষণা কার্যক্রম নেই। অন্যদিকে আইনের সুশাসনে বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা, প্রকৃত আসামিকে চিহ্নিত করা যাচ্ছেনা। এভাবেই দেশে পরিবহণ সেক্টরটি চলছে।”
গবেষকরা বলছেন, যে কোন সড়ক, ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস তৈরির পর নির্মাণ ত্রুটি আছে কিনা পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে লাইসেন্স প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করারও তাগিদ তাদের।
বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক (এআরআই) কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, “যত্রতত্র রাস্তা বা ফ্লাইওভার, ওভারপাস তৈরি হচ্ছে কিন্তু যখন একই সড়কে নামবে সেটা কিভাবে ম্যানেজ হবে এটা করা হয়না। ফলে যানজট এবং দুর্ঘটনার সংকট সৃষ্টি হয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো রাস্তা তৈরি করছে তাদের বিআরটিএ-পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের ব্যাপার রয়েছে।”
যাত্রী, পথচারী ও চালক সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে মনে করে পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, “ভবিষ্যতে আমরা স্মার্ট পুলিশের দিকে যাচ্ছি। আরও নতুন নতুন ফিচার বা প্রযুক্তি এর সঙ্গে যোগ হবে। যাতে সংকটগুলো কমিয়ে আনা যায়। আমরা যারা সড়ক-মহাসড়ক ব্যবহার করে থাকি আমাদেরও নিজস্ব দায়বদ্ধতা রয়েছে ট্রাফিক আইন মেনে চলার।”
ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে সড়কে চলাচল করতে না পারে সেই লক্ষ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এএইচ