সড়কের গতি টেনে ধরার সময় এসেছে
প্রকাশিত : ১৬:০৮, ১৬ জুন ২০২৩
সড়কের বেপরোয়া গতি টেনে ধরার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেছেন, দেশে সড়কের পরিধি অনেক বিস্তৃত হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়কে গাড়ির গতিও। বর্তমানে সময় এসেছে সেই গতি টেনে ধরার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত রোড সেফটি এলায়েন্স বাংলাদেশের কর্মসূচি অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, 'আমরা দুর্ঘটনা নিয়ে ভাবি, কিন্তু চালকদের কথা ভাবি না। অনেক চালক টানা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত থাকেন, বিশ্রামের সুযোগ পান না। বিদেশে গিয়ে দেখেছি, দুই দিন গাড়ি চালানোর পর তৃতীয় দিন কম্পানি তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়।
তবে আমাদের সে অবস্থা নেই, দেশে গাড়ির তুলনায় চালকের সংখ্যা কম। তবে আমরা কাজ শুরু করেছি।'
তিনি আরো বলেন, 'দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য নিজেদেরও উদ্যোগী হতে হবে। যারা মোটরসাইকেল চালান, তাদের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।আমরা কেবল গতির কথা ভাবি, জীবনের কথা ভাবি না।'
'জেলা পর্যায় থেকে প্রতিদিনই আমাদের কাছে দুর্ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়' উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন সচিব বলেন, 'ঢাকাতেও সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ৮ থেকে ১০টি বেসরকারি সংস্থা দুর্ঘটনার রিপোর্ট তৈরি করে। এ তথ্যগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাঘাট অনেক হয়েছে, এবার প্রয়োজন শৃঙ্খলা।'
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক পার্থ সারথি দাস।
প্রবন্ধে তিনি বলেন, 'নীতিমালা, পরামর্শ, সুপারিশের বেশিরভাগই হেলায় পড়ে থাকে-বাস্তবায়ন হয় না। নীতির বাস্তবায়নের এই হেলার ফলে ভয়ংকর বিপদ এগোতে থাকে। আমাদের নীতি নির্ধারক, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর কর্তাদের তাতে যেন কিছু আসে যায় না। তারাও জনগণের অংশ, তারা ভোগান্তি পোহায় –তারপরও তারা জাগে না, জাগতে চায় না।'
পার্থ সারথি দাস বলেন, 'দেশে যোগাযোগ খাতে বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে, কিন্তু গণপরিবহন ব্যবস্থার নীতি এখনো উল্টোপথে হাঁটছে। একজন সাধারণ মানুষও জানেন, বাসে বেশি যাত্রী পরিবহন করা যায়। কিন্তু দেশে বাসের চেয়ে মোটরসাইকেল বেশি। দেশে মোট নিবন্ধিত মোটরযানের ৭২ শতাংশই মোটরসাইকেল। অথচ মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি।'
এসবি/
আরও পড়ুন