ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু সোমবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৫, ১৯ আগস্ট ২০১৮

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে মিনায় পৌঁছেছেন হাজিরা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শনিবার রাতেই কেউ গাড়িতে, কেউবা হেঁটে মিনায় পৌঁছান। আজ রোববার সারাদিন তারা সেখানেই অবস্থান করবেন। সেখান থেকে তারা আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা হবেন। সৌদি আরবে ৯ জিলহজ অর্থাৎ আগামীকাল সোমবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

হজের খুতবা শোনা, এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। সন্ধ্যায় তারা মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের ১৫০টি দেশের ২০ লক্ষাধিক মুসল্লি হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব এসেছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের এক লাখের বেশি মুসল্লি রয়েছেন। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে ১২ তারিখে। গতকাল রাতে এশার নামাজের পর মুসল্লিরা মক্কার মসজিদ আল হারাম থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে মিনায় যান। সেখানে সারাদিন অবস্থানের পর তালবিয়া পাঠ করে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় তারা আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন।
হজে এসে অসুস্থতার জন্য যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে স্বল্প সময়ের জন্য নেওয়া হবে। অন্যরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত-বন্দেগি করবেন। মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা পাঠ করা হবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দৃশ্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ‘লাব্বায়েক, আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বায়েক, ইন্নাল হামদা ওয়ানিন’ মাতা লাকা ওয়ালমুলক’- এই ধ্বনিতে ওইদিন মুখর হবে আরাফাতের ময়দান। সাদা ইহরাম বাঁধা অবস্থায় লাখ লাখ হাজির পদচারণায় আরাফাতের ময়দান পরিণত হবে শুভ্রতার সমুদ্রে। ১০ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য রওনা দেবেন তারা। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার আগেই জামারাতুল আকাবায় (বড় শয়তান) সাতটি পাথর নিক্ষেপ করা হবে। পাথর নিক্ষেপের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তারা পশু কোরবানি দেবেন। ১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে সূর্য হেলে পড়ার পর প্রতিদিন ছোট, মধ্য ও বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে তারা মিনা ত্যাগ করবেন।
এদিকে হাজিদের নির্বিঘ্নে হজ পালনের জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজিদের চিকিৎসা ও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাজার হাজার চিকিৎসা কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। মক্কা, মিনা, মদিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় বহু অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাজিদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, ‘হজ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইচ্ছা করা’। এটি ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের একটি।
সূত্র : আল জাজিরা, সৌদি গেজেট ও এনডিটিভি

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি