হলি আর্টিজানে নিহত হয়েছিলেন ১৭ বিদেশি নাগরিক
প্রকাশিত : ১২:০১, ৩০ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১২:২৫, ৩০ জুন ২০১৭
হলি আর্টিজানে নারকীয় হামলায় নিহত হয়েছিলেন জাপান, ইতালি ও ভারতের ১৭ নাগরিক। উন্নয়ন সহযোগী তিন দেশের নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের মাঝেও আতংকের সৃষ্টি হয়। ঘটনার এক বছর পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, পরিস্থিতি বদলেছে। ঢাকা এখন নিরাপদ শহর বলেও দাবি তাদের। তবে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় কাটেনি বিশ্লেষকদের।
গেল বছরের পহেলা জুলাই। রাত পৌনে নয়টা। প্রথমেই হলি আর্টিজানে প্রবেশ করে জঙ্গি নিবরাস ইসলাম ও মীর মোবাশ্বের। এরপরই ঢোকে রোহান ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। সবার কাঁধেই ছিল ব্যাগ। একে-টোয়েন্টি টু রাইফেল, পিস্তল, ৪ শ’ রাউন্ডেরও বেশি গুলি; গ্রেনেড, চাপাতি, চাকু আর তরবারি ছিল তাদের সাথে।
জঙ্গিদের মধ্যে ৩ জনই ঢাকার উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া তাদের।
হলি আর্টিজানে ঢুকে প্রথমেই ১৭ বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে জঙ্গিরা। আর জিম্মি করার আধা ঘন্টার মধ্যেই তাদের গুলি করে। পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয় তাদের।
বিদেশি নাগরিকদের কেউ নিজেদের, কেউবা আবার বাবা-মা’র কর্মসূত্রে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়। সমালোচনার ঝড় ওঠে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। নিহতদের লাশ চোখের জলে বরণ করেন তাদের দেশবাসী।
ঘটনার পর ঢাকার নিরাপত্তায় ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। আতংক, উদ্বেগও দূর হয়েছে বলে জানালেন মহানগর পুলিশ কমিশনার।
পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সংশয়, উৎকন্ঠা পুরোপুরি কাটেনি বলে মনে করেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশীদ।
হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় ৭ জাপানি, ৯ ইতালীয় ও ১ ভারতীয় নাগরিক নিহত হন। এছাড়া হামলায় নিহত হন আরও ৩ বাংলাদেশি, রেস্তোরাঁর ২ কর্মী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা। সেদিনের সেই বিভৎস ঘটনা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় প্রত্যক্ষদর্শীদের।
আরও পড়ুন