ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

হলোনা আশরাফুল!

প্রকাশিত : ২২:৪৮, ২০ এপ্রিল ২০১৯

বছরটা যেন দীর্ঘশ্বাসেই কাটছে জাতীয় দলের একসময়ে ধ্যুতি ছড়ানো মোহাম্মদ আশরাফুলের। একের পর এক ব্যার্থতায় বার বার যেন খেই হারিয়ে ফেলছেন তিনি। জাতীয় দলে ফিরে আসার পর ভক্তকূল ব্যাপক আশাবাদী থাকলেও তার প্রতিদান দিতে পারেনি আশরাফুল। গতবার প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড পাঁচ সেঞ্চুরি করা আশরাফুল এবার ১১ ম্যাচে ১৯.৯০ গড়ে করেছেন ১৯৯ রান। আশরাফুলের মতো ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা তাঁর দল মোহামেডানও।

গত ১৭ এপ্রিল আবাহনীর সাথে ম্যাচে দলের বিপদের মুখে হাফসেঞ্চুরি করলেও দলকে জেতাতে পারেনি মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি সাজঘরে ফেরার পরই মোহামেডানের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে যায়। সুপার লিগপর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনীর কাছে ৪৫ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাদা-কালো শিবির। এ ম্যাচে ৬৮ রানের ইনিংস বাকি ১০ ইনিংসে বলার মতো কিছু দেখা যায়নি তাঁর ব্যাটে।

এদিকে গতকালও (১৯ এপ্রিল) ফতুল্লায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে শোচনীয় এক পরাজয় পেয়েছে মোহামেডান লিমিটেড। সাদা কালোদের ৭ উইকেট আর ৯৯ বল হাতে রেখে হারিয়েছে শেখ জামাল। সে ম্যাচেও আশরাফুল নিষ্প্রাণ। খেলেছেন খুবই ধীরগতির ইনিংস। ২১ রান করেছেন ৪৯টি বল খেলে, যে ইনিংসে ছিল ২টি বাউন্ডারির মার।

সুপার লিগের বাকি রয়েছে আর মাত্র দুটি ম্যাচ। শেষের দিক এসে মোহাম্মদ আশরাফুলের ভাবনায় শুধু ঘুরে দাঁড়ানো। গত প্রিমিয়ার লিগে যে সেঞ্চুরি ‘ডাল-ভাত’ করে ফেলা ছেলেটির কাছে সেটিই হয়ে গেল সোনার হরিণ। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বাকি দুই ম্যাচে যেকোন মূল্যেই পেতে হবে সেঞ্চুরির দেখা।

দীর্ঘ দিন নিজের নামের সুবিচার করতে না পারার ব্যাখ্যা দিলেন আশরাফুল। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ভালো খেলতে পারিনি তাই রান পাইনি। কিছু ম্যাচ বসে থাকলাম। মনমতো ব্যাটিং অর্ডারও পাইনি। বেশির ভাগ ম্যাচে ছয়ে-সাতে নেমেছি। তিনে নামতে পারলে ভালো হতো। টিম ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেছি শেষ দুটি ম্যাচে তিনে নামতে।

শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগই নয়, ডিপিএল টি-টোয়েন্টি, তার আগে বিপিএলও ভালো যায়নি আশরাফুলের। ব্যাট ধারাবাহিক কথা বলবে কবে, সে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাঁকে। প্রিমিয়ার লিগের শেষ দুটি ম্যাচে ভালো কিছু করেই লিগ শেষ করতে আশাবাদী আশরাফুল।

তবে, নিজে ব্যার্থ হলেও কথা বলেছেন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দল নিয়ে। এবারের দলকে বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ দল আখ্যা দিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে ১০টি দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রাখা যায়। হ্যাঁ, দলের বেশ কয়েকজনের ইনজুরি আছে। তবে সেটা মেজর নয়। এছাড়া লিটন দাস, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার ফর্মে নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা ভালো করতে পারছে না। এর মানে এই নয় যে, বিশ্বমঞ্চে পারবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরীক্ষিত ক্রিকেটার তারা।

তবে ভাবনার বিষয়টা একটাই। এবারের ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হবে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। বেশি ম্যাচ হলে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি