হাঁড় শক্ত আর রক্তশূন্যতা দূর করে কলমি শাক
প্রকাশিত : ১৭:৫১, ১০ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৭:১৮, ১৮ আগস্ট ২০১৭
হাতের নাগালেই থাকে কলমি শাক। পানিতে জন্মে আবার পানিতেই বেড়ে ওঠে। দামে সস্তা এই কলমি শাকের উপকারিতা অবিশ্বাস্য।
আঁশজাতীয় এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে। পাশাপাশি রক্তশূন্যতা দূর করতে রয়েছে কার্যকর ভূমিকা। কলমি শাকের আরও কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাক-
শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে: শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকে যা শরীরে শক্তি যোগায়। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য কলমি শাক খাওয়ানো হয়।
হাঁড় শক্ত করে কলমি শাক: কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এ কারণে এ শাক হাঁড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো দরকার।
চোখ ভালো রাখে: চোখ ভাল রাখতে কলমি শাক ভাল কাজ করে। কলমি শাক চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
রোগ প্রতিরোধক: কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
হজম সহায়ক: কলমি শাক মূলত আঁশজাতীয়। তাই শরীরের খাবার দ্রুত হজমের জন্য কলমি শাক বিশেষ উপকারী।
রক্তশূন্যতায়: কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। শরীরে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০০ গ্রাম কলমি শাকে যা থাকে: প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলোক্যালোরি, সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম, খাদ্যআঁশ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, কর্বোহাইড্রেটস ৫.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম।
আর/ডব্লিউএন