ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হাত দিয়ে খাওয়ার বিস্ময়কর ৫টি উপকারিতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৭, ২ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৩:০৫, ৩ জুন ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

উন্নত বিশ্ব তথা ইউরোপের মানুষ হাত দিয়ে না খেয়ে চামুচ দিয়ে খাবার খান। তবে আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য এবং এশিয়ার বেশিরভাগ মানুষ ছুরি ও চামচের পরিবর্তে হাত দিয়ে খান। আপনি হয়ত শুনে অবাক হবেন যে, হাত দিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কারণ, খাওয়া একটি ইন্দ্রিয়গত ও মনোযোগী প্রক্রিয়া। দৃষ্টি, গন্ধ, শব্দ, স্বাদ এবং স্পর্শ এর মত আপনার অনুভূতিগুলো ব্যবহার হয় বলে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাটি পরিপূর্ণতা পায়। হাত দিয়ে খেলে শরীর, মন ও আত্মার মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়। এ কারণেই পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক রেস্টুরেন্টে হাত দিয়ে খাওয়াকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আসুন জেনে নিই হাত দিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি-  

খাওয়াকে অনুভূতিময় অভিজ্ঞতায় পরিণত করে

আয়ুর্বেদ মতে, প্রতিটা আঙ্গুলেরই ৫টি উপাদানের সাথে সংযোগ থাকে যেমন- বৃদ্ধাঙ্গুলি স্থানের সাথে, তর্জনী বাতাসের সাথে, মধ্যমা আগুনের সাথে, অনামিকা পানির সাথে এবং কনিষ্ঠা মাটির সাথে সম্পর্কিত থাকে। হাত দিয়ে খাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটিতে এই ৫ টি উপাদান উদ্দীপিত হয় এবং আপনাকে খাবারের থেকে শক্তি পেতে সাহায্য করে। অনুভূতি অঙ্গগুলো আরো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই ৫ টি অনুভূতি উদ্দীপিত হলে তা আপনাকে খাদ্যের স্বাদ, গন্ধ ও গঠনের বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে সাহায্য করে।

হজমের উন্নতি

আপনার হাতের তালু ও আঙ্গুলে ভালো ও খারাপ উভয় ধরনের ব্যাকটেরিয়াই থাকে। ভালো ব্যাকটেরিয়া পরিবেশের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেয়। চামচ দিয়ে খাওয়ার সময় এই ব্যাকটেরিয়াগুলো আপনার অন্ত্রে প্রবেশ করে না। তাছাড়া আপনি যখন হাত দিয়ে খাবার স্পর্শ করবেন তখন মস্তিস্কে বার্তা পৌঁছায় পরিপাক রস ও এনজাইম নিঃসৃত করার জন্য। খাবারের ধরনের উপর নির্ভর করে  আপনার বিপাক পরিচালিত হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করে, যা ভালোভাবে হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। সুস্থ দেহ ও মনের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিপাক প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

চামচ দিয়ে খেলে খাওয়া সহজ ও দ্রুত হয়। কিন্তু এর ফলে রক্তের চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায় বলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ও বৃদ্ধি পায়। ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ এন্ডোক্রাইনোলজিতে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, যারা দ্রুত খান তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি যারা আস্তে খান তাদের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি। তাই বলা যায় যে দ্রুত খাওয়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, এই সমস্যাটি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য হাতে খাওয়া শুরু করতে পারেন। হাতে খেলে সময় লাগে এবং অল্প খাবার মুখে পোরা হয়। ধীরে খাওয়া হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং আপনাকে পেট ভরার অনুভূতি দেয়, ফলে কম খাবার খাওয়া হয়।

মনোযোগ দিয়ে খাওয়া হয়

চামচ দিয়ে খাওয়া একটি যান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং তাই আপনি কী খাচ্ছেন ও কতটুকু খাচ্ছেন সে বিষয়ে আপনাকে সচেতন করে না। চামচ দিয়ে খাওয়ার সময় আপনি অন্য কাজও করতে পারেন যেমন- টিভি দেখা, মোবাইল চেক করা বা পেপার পড়া ইত্যাদি। খাওয়ায় পরিপূর্ণ মনোযোগ না দিলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। অমনোযোগী হয়ে খাওয়াই ওজন বৃদ্ধির বড় কারণ। হাত দিয়ে খেলে অন্য কাজ করাটা কঠিন।

বেশি স্বাস্থ্যকর

হাত দিয়ে খাওয়াকে অনেকেই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস মনে করেন। কিন্তু আসল ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত। যারা হাত দিয়ে খান তারা প্রতিবেলায় খাওয়ার সময় হাত ধুয়ে নেন। তাই হাত দিয়ে খাওয়া অনেকবেশি স্বাস্থ্যকর।

সূত্র : টপটেন হোমরিমিডিস


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি