ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হাত পায়ে ঝিঁঝি ধরে কেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৯, ২১ এপ্রিল ২০২২

Ekushey Television Ltd.

ছোট থেকে বড় প্রায় সকলের কাছেই হাতে বা পায়ে ঝিঁঝি ধরা বিষয়টি পরিচিত। অনেক সময় পা বা হাতের ওপর দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়লে বা একই ভঙ্গিমায় বসে বা শুয়ে থাকলে সাময়িক যে অসাড় অনুভূতি তৈরি হয় সেটিকেই সাধারণত ঝিঁঝি ধরা বলা হয়।

বিজ্ঞানের ভাষায়, একে টেম্পোরারি প্যারেসথেশিয়া বলে। আবার ইংরেজিতে এটিকে পিনস অ্যান্ড নিডলসও বলা হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঝিঁঝি ধরার অনুভূতিটিকে মোটামুটি ভাবে তিন ধাপে বিভক্ত করা যায়।

প্রথম ধাপে তিন থেকে চার মিনিটের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়, এই সময় মনে হয় যেন ত্বকের ভিতর অসংখ্য পিপড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এই বিষয়টিকে কমপ্রেশন টিঙ্গলিং বলা হয়। দ্বিতীয় ধাপটি সাধারণত শুরু হয় পাঁচ-দশ মিনিট পর। এই ধাপে হাতে বা পায়ের সংশ্লিষ্ট অংশটি অসাড় হয়ে আসে। তৃতীয় ও শেষ ধাপটি শুরু হয় চাপ অপসারণ করার পর। এই অংশটিকেই ইংরেজিতে পিনস অ্যান্ড নিডলস বলা হয়। এই সময়ে মনে হয় যেন অসংখ্য সুঁচ দিয়ে একসঙ্গে ঐ অংশে খোঁচা দেয়া হচ্ছে। তবে সাধারণত কিছুক্ষণের মধ্যেই অসাড়তা এবং খোঁচা লাগার মতো অস্বস্তিকর অনূভুতি চলে গিয়ে স্বাভাবিক অনুভূতি ফিরে আসে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক এটি কেনো হয়-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবদেহের সর্বত্র অসংখ্য স্নায়ু রয়েছে, এই স্নায়ুগুলো মস্তিষ্ক ও দেহের অন্যান্য অংশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। বসা বা শোয়ার সময় এই স্নায়ুর কোনও একটিতে চাপ পড়তে পারে। স্নায়ুতে চাপ পড়ার ফলে শরীরের ওই অংশ থেকে তথ্য মস্তিষ্কে ঠিক ভাবে পৌঁছতে পারে না। পাশাপাশি দেহের ওই অংশে রক্ত চলাচলকারী শিরার উপরও। ফলে শরীরের ওই অংশে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। এর ফলে ঝিঁঝি ধরতে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে চাপ অপসারিত হলে, একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ রক্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গে প্রবাহিত হয়, পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ তথ্য মস্তিষ্কে প্রবাহিত হতে শুরু করে। ফলে সুঁচ ফোটার অনুভূতি তৈরি হয়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন
সাধারণত ভঙ্গি বদলের অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। কিন্তু এই সমস্যা যদি ক্রমাগত হতেই থাকে তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোনও অঙ্গ যদি বার বার এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় বা দীর্ঘ সময় পরেও ঝিঁঝি লাগা বন্ধ না হয়, তবে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে। মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্যারেসথেশিয়া দেখা দিতে পারে ডায়বিটিস থেকেও। তাই দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যা দেখা দিলে বসে থাকা যাবে না।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/ এসএ/


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি