হানিমুনে পছন্দের অলংকার পরায় তালাক
প্রকাশিত : ১২:১২, ২৫ আগস্ট ২০১৭
প্রতিকী ছবি
তুচ্ছ ঘটনায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা সৌদি আরবে হরহামেশাই ঘটছে। ছোটখাটো সমস্যা থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দেশটিতে যেন রীতিমত নিয়মে পরিণত হচ্ছে। গত দুই বছরে এ প্রবণতা আরও বেড়েছে। সম্প্রতি আজব তিনটি কারণে ঘর ভেঙেছে তিন দম্পতির। কেউ হাঁটার সময় স্বামীর চেয়ে এগিয়ে যাওয়ায়, খাবারের টেবিলে বন্ধুকে ভেড়ার মাথা পরিবেশন না করা এবং মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে পছন্দের অলংকার পায়ে পরার মতো তুচ্ছ ঘটনায় তিন নারীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। খবর গালফ নিউজের।
বিয়ের পরই মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে শুনতে হয়েছে বিচ্ছেদের খবর। সৌদির বিখ্যাত শহর মক্কার এক নবদম্পতি সম্প্রতি মধুচন্দ্রিমায় যান। সেখানে ভালোই কাটছিল সময়। কিন্তু একদিন শখ করে পায়ে একটি অলংকার পরেছিলেন ওই নববধূ। স্বামীর এটা পছন্দ না হওয়ায় ওই নববধূর কপালে জোটে তালাক।
গালফ নিউজ ও আল ওয়াতানের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি নাগরিক হামজা আবদুল্লাহর সঙ্গে প্রায় পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন আরিফা আখতারের। সম্প্রতি আত্মীয়ের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে একসঙ্গে বেরিয়েছিলেন ওই দম্পতি। একসঙ্গে ঘর থেকে বের হলেও পথ চলতে চলতে খানিকটা এগিয়ে যান আরিফা। আবদুল্লাহ বেশ কয়েকবার হাঁকডাক করলেও স্ত্রী পিছিয়ে আসেননি। উল্টো জোর কদমে এগোতে থাকেন। ভরা রাস্তায় সবার সামনে এ ঘটনায় নিজে কিছুটা অপমানিত বোধ করেন আবদুল্লাহ। আর তুচ্ছ এ কারণেই স্ত্রীকে তালাক দেন আবদুল্লাহ। এই দম্পতির বসবাস রাজধানী রিয়াদে।
সম্প্রতি সৌদি আরবের জেদ্দায় এক দম্পতি এক বন্ধুকে বাসায় দাওয়াত দেন। খাবারের টেবিলে ওই বন্ধুর জন্য বেশ খানাপিনার আয়োজন করা হয়। খোশগল্পে রাতের খাবার বেশ ভালোভাবেই চলছিল। খাবারের একপর্যায়ে ওই বন্ধুকে ভেড়ার মাথা পরিবেশন না করায় স্ত্রীর ওপর খেপে যান স্বামী। ভেড়ার মাথা বন্ধুকে খেতে না দেওয়ায় স্বামীর নাকি সমাজে সম্মানহানি হয়েছে; আর এ ‘অপরাধে’ স্বামী নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন