হাবিপ্রবি’র কৃষি অনুষদের নতুন ডিন ড. বিধান চন্দ্র হালদার
প্রকাশিত : ১৪:৪১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের নতুন ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার।
গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কৃষি অনুষদের ডিন হিসেবে অধ্যাপক ড. রওশন আরা এর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার।
নতুন ডিন হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ায় অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্ন থেকেই আমাদের এই কৃষি অনুষদ সব থেকে বড় অনুষদ এবং এখানে সিনিয়র শিক্ষকও সব থেকে বেশি। আমাদের বিগত ডিন অধ্যাপক ড. রওশন আরা ম্যাডাম যে কাজ গুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন সেগুলো আমি বাস্তবায়ন করবো যেমন সেশনজট কমিয়ে আনা, ঠিকমতো পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা, সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া ফলাফল প্রদান সহ এই অনুষদের সকল কার্যক্রম আরো বেগবান করার চেষ্টা করবো। প্রাথমিক ভাবে এগুলোই পরিকল্পনা নিয়েছি।”
বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২২ সালে রুটিন উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার নড়াইল জেলার সদর উপজেলায় ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহন করে ১৯৭৮ ও ১৯৮০ তে যথাক্রমে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ হতে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স এবং ১৯৮৭ সালে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮-৯২ সাল পর্যন্ত তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পটুয়াখালী কৃষি কলেজ) প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯৯২ সালের ২৬ শে মে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ১৯৯৬ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজে) এ সহকারী অধ্যাপক, ২০০৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক, ২০০৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতি লাভ করেন এবং ২০১০ সালে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৭টির মত বিভিন্ন প্রকাশনা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিঃপরীক্ষকসহ দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ ও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
এসএ/
আরও পড়ুন