পানাম নগর
হারানো শহরের খোঁজে একদিন
প্রকাশিত : ১৮:৪৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১০:২১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
যেখানে ইতিহাস কথা বলে। গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। শত শত বছরের ইতিহাস। ধ্বংসপ্রায় নগরীর ইতিহাস। বলছি সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরী’র কথা। এটি ‘হারানো নগরী’ নামে পরিচিত। ঢাকা থেকে অদূরে অবস্থিত প্রাচীন এই শহরে ঘুরে আসুন না, একবার। এই নগরীতে প্রবেশ করলে আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য ভুবনে।
যারা ঢাকায় বাস করেন এবং চাকরিজীবী তাদের বাইরে বেড়ানোই হয় না। আর এর বড় কারণ সময়ের অভাব। সপ্তাহে একদিন অথবা দু’দিন ছুটি। এই অল্প ছুটিতে ঢাকার বাইরে ঘুরে আসা ভাবাই যায় না। কিন্তু চাইলেই এই ইট, কাঠ আর ধূলাবালুর শহর ছেড়ে স্বাধীনভাবে ঘুরে আসতে পারেন খুব কাছ থেকেই।
অনেক দিন ধরে ঐতিহাসিক এই নগরীতে বেড়িয়ে আসার ইচ্ছা। কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। তাই এবার ঠিক করলাম পানাম নগর দেখবই।
ছুটির দিন শুক্রবার রওনা হলাম। যাত্রা শুরু করলাম সকাল ৮টায়। গুলিস্তান থেকে ফ্লাইওভার দিয়ে কাচপুর ব্রিজ পাড় হয়ে যেতে হয় সোনারগাঁও পানাম সিটিতে। সামান্য কিছু দূরে বাংলার প্রথম রাজধানী সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর। একদিনেই সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ও পানাম নগর ঘোরে দেখার সংকল্প করলাম।
ঢাকা থেকে পানাম নগরের দূরত্ব ২৭ কিমি। যা সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর থেকে আধা কিমি উত্তরে অবস্থিত। পানাম নগর পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি। যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এ অবস্থিত। পানাম বাংলার প্রাচীনতম শহর। এক সময় ধনী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বসবাস ছিল এখানে। ছিল মসলিনের জমজমাট ব্যবসা। কি আছে পানাম নগর ও লোকশিল্প জাদুঘরে সে গল্প একটু পরে হবে। আগে জেনে নিই সোনারগাঁয়ের ইতিহাস।
সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস
রাজধানী ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে সোনারগাঁওয়ের অবস্থান। সুবুজের সমারোহ আর বনানীর শ্যামললিমায় মনোরম স্থাপত্যশৈলী। প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ছায়া-ডাকা, পাকি-ডাকা, হৃদয়-ছোঁয়া নৈসর্গিক পরিবেশ পর্যটকদের মন কেড়ে নেয় সোনারগাঁও। এই সোনারগাঁয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোনালী অতীতের এক সুবর্ণ অধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য স্মৃতি।
সোনারগাঁয়ের নামকরণে মতভেদ রয়েছে। গবেষকদের মতে, সোনারগাঁয়ের প্রাচীন নাম ছিল সুবর্ণ বীথি বা সুবর্ণগ্রাম। এই সুবর্ণগ্রাম থেকেই মুসলিম আমলের সোনারগাঁও নামের উদ্ভব।
প্রবাদ আছে, মহারাজ জয়ধ্বজের সময় এ অঞ্চলে সুবর্ণবৃষ্টি হয়ছিল বলে এ স্থান সুবর্ণ গ্রাম নামে পরিচিতি লাভ করে। কেউ কেউ বলেন, বরা ভূঁইয়া প্রধান ঈসা খাঁর স্ত্রী সোনাবিবির নামানুসারে এর নাম হয়েছে সোনারগাঁও। সোনারগাঁও বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জল প্রাচীন জনপদ। সোনারগাঁও জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সোনারগাঁও মধ্যযুগে ছিল মুসলিম সুলতানদের রাজধানী। বর্তমানে সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। সোনারগাঁ উপজেলার বর্তমান আয়তন ১১৭.৬৬ বর্গ কিলোমিটার। যা নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস জানার জন্য পৌরাণিক উপাখ্যান, কিংবদন্তি বা জনশ্রুতির ওপরই বেশি নর্ভর করতে হয়। মধ্যযুগীয় এই নগরটির অবস্থান নির্ণয় করা কঠিন। সোনারগাঁওয়ের পূর্বে মেঘনা নদী, দক্ষিণ-পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী এবং উত্তরে ব্রক্ষ্মপুত্র দ্বারা পরিবেষ্টিত। সেজন্য রাজা-বাদশাগণ সানন্দে সোনারগাঁয়ে বাংলার রাজধানী গড়ে তুলেছিলেন। ধারণা করা হয় ঐতিহাসিকভাবে সোনারগাঁওয়ের উদ্ভব প্রাক-মুসলিম যুগ থেকেই।
প্রাচীন সেই নগরীর তেমন কিছু আর অবশিষ্ট নেই। এখন আছে শুধু ঘুরে দেখার মতো ঐতিহাসিক পুরনো বাড়িগুলো।
পানাম নগর
ঈসা খাঁর আমলের বাংলার রাজধানী ছিল পানাম নগর। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর-প্রাচীন সোনারগাঁওর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূঁইয়াদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৩০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে নারায়ণগঞ্জের খুব কাছে সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত এই নগর। সোনারগাঁওয়ে ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নগরী গড়ে ওঠে। ঐতিহাসিকভাবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। জানা যায়, ১৪০০ শতাব্দীতে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। যেখানে পৃথিবীর নামী-দামি শিক্ষকেরা পড়াতে আসতেন।
পানাম নগরীর নির্মাণশৈলী অপূর্ব এবং এর নগর পরিকল্পনা দুর্ভেদ্য ও সুরক্ষিত। এটি মুলত বঙ্গ অঞ্চলের তাঁত ব্যবসায়ীদের মূল কেন্দ্র বিন্দু ও আবাসস্থল ছিল। এ স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁত ব্যবসা পরিচালনা করতেন। বাংলার মসলিনসহ অন্যান্য তাঁত শিল্পের প্রচার প্রসার ও ব্যবসায়ের তীর্থস্থান এ পানাম নগরী।
পানাম নগরীতে মূলত ব্যবসায়ী ও জমিদাররা বসবাস করতেন। এর পাশাপাশি রাজাদের, আমির ওমরাদের জন্য পানাম নগরী ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে গড়ে উঠেছিল নিপুন কারুকাজ খচিত পাকা ইমারতরাজি। পানাম ও তার আশপাশকে ঘিরে পঞ্চদশ শতক থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত এক সমৃদ্ধ জনজীবন ছিল। এখানে সরু রাস্তার দুই ধারে গড়ে উঠেছিল অট্টালিকা, সরাইখানা, মসজিদ, মন্দির, মঠ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, কূপ, নাচঘর, খাজাঞ্চিখানা, টাকশাল, দরবার কক্ষ, গুপ্তপথ, প্রশস্থ দেয়াল, প্রমোদালয় ইত্যাদি।
পানাম নগরীতে দেখা যায় ৪০০ বছরের পুরনো মঠবাড়ি। পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খীরাজ খাল। এ খাল পানামের গুরুত্বপূর্ন ভবনগুলো ছুঁয়ে পূর্বদিকে মেনিখালি নদ হয়ে মেঘনা নদীতে মিশেছে। ৫ মিটার প্রশস্থ ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুই পাশে একতলা, দোতলা ও তিনতলা দালান রয়েছে পানামে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় ৫২ টি ভবন। পানাম নগরীর মাঝে যে রাস্তা চলে গেছে এর উত্তর পাশে আছে ৩১ টি ভবন এবং দক্ষিণ পাশে আছে ২১টি ভবন।
প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কূপসহ আবাস উপযোগী নিদর্শন রয়েছে। নগরীর পানি সরবরাহের জন্য দুই পাশে খাল ও পুকুরের অবস্থান লক্ষ করা যায়। পানাম নগরের আশপাশে আরো কিছু স্থাপনা আছে যেমন- ছোট সর্দারবাড়ি, ঈশা খাঁর তোরণ, নীলকুঠি, বণিক বসতি, ঠাকুরবাড়ি, পানাম নগর সেতু ইত্যাদি।
আমরা মাত্র ২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করি প্রাচীন এই নগরীতে। প্রবেশ মুখেই রয়েছে একটি বড় ফলক। যাতে সংক্ষিপ্ত আকারে ইতিহাস লেখা রয়েছে। পানাম নগরের নির্মিত ভবনগুলো ছোট লাল ইট দিয়ে তৈরি। দীর্ঘ একটি সড়কের উভয় পাশে দৃষ্টিনন্দন ভবন। উভয় পাশে মোট ৫২টি পুরোনো বাড়ি এই ক্ষুদ্র নগরীর মূল আকর্ষণ। চারিদিকে সুনশান নিরবতা। অনেক পর্যটক এসেছে এই ছুটির দিনে। এ এক অন্যরকম অনুভুতি। মনে হবে এক মৃত নগরীতে প্রবেশ করেছেন।
বেশ কিছু সময় কাটিয়ে আমরা রওনা হলাম সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরে।
সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর
পানাম নগরী থেকে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর আধা-কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আবহমান গ্রামবাংলার লোক সাংস্কৃতিক ধারাকে বিকশিত করার উদ্যোগে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ১২ মার্চ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরীর একটি পুরনো বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। পরে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে ১৫০ বিঘা আয়তনের কমপ্লেক্সে খোলা আকাশের নিচে বাংলার প্রকৃতি ও পরিবেশে গ্রামীণ রূপকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শৈল্পিক কর্মকাণ্ডের পরিচয় তুলে ধরতে শিল্পী জয়নুল আবেদীন এই জাদুঘর উন্মুক্ত পরিবেশে গড়ে তোলার প্রয়াস নেন এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্সটি প্রায় ১০০ বছর পুরনো সর্দারবাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। এখানে আরো রয়েছে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, কারুপল্লী ও একটি বিশাল লেক।
সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এলাকায় রয়েছে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরটি। এখানে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের অবহেলিত গ্রামবাংলার নিরক্ষর শিল্পীদের হস্তশিল্প, জনজীবনের নিত্যব্যবহার্য পণ্যসামগ্রী। এসব শিল্প-সামগ্রীতে তৎকালীন প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের রূপচিত্র ফুটে উঠেছে।
সর্দারবাড়িতে ১০টি গ্যালারি রয়েছে। গ্যালারিগুলোতে কাঠ খোদাই, কারুশিল্প, পটচিত্র ও মুখোশ, আদিবাসী জীবনভিত্তিক নিদর্শন, গ্রামীণ লোকজীবনের পরিবেশ, লোকজ বাদ্যযন্ত্র ও পোড়ামাটির নিদর্শন, তামা-কাসা-পিতলের নিদর্শন, লোহার তৈরি নিদর্শন, লোকজ অলঙ্কারসহ রয়েছে বহু কিছু। ভবনটির সামান্য আগে রয়েছে লোকজ স্থাপত্যকলায় সমৃদ্ধ আধুনিক এক ইমারতে প্রতিষ্ঠিত জয়নুল আবেদীন স্মৃতি জাদুঘর। এই ভবনটিতে মাত্র দু’টি গ্যালারি।
এই দু’টি গ্যালারির মধ্যে একটি গ্যালারি কাঠের তৈরি, যা প্রাচীন ও আধুনিককালের নিদর্শনসমৃদ্ধ। তা ছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক, বৈশিষ্ট্য কাঠ এবং কাঠ থেকে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরি এবং সর্বশেষ বিক্রির সামগ্রিক প্রক্রিয়া, অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে সুন্দর মডেল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এই দু’টি ভবনের বাইরে রয়েছে পাঠাগার, ডকুমেন্টেশন সেন্টার, সেমিনার হল, ক্যান্টিন, কারুমঞ্চ, গ্রামীণ উদ্যান ও বিভিন্ন রকমের বৃক্ষ, মনোরম লেক, লেকের মাঝে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌবিহার, মৎস্য শিকারের সুন্দর ব্যবস্থা ও পঙ্খিরাজ নৌকা।
কারুপল্লীতে বৈচিত্র্যময় দোচালা, চৌচালা ও উপজাতীয়দের আদলে তৈরি ঘরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অজানা, অচেনা, আর্থিকভাবে অবহেলিত অথচ দক্ষ কারুশিল্পীর তৈরি বাঁশ, বেত, কাঠ খোদাই, মাটি, জামদানি, নকশিকাঁথা, একতারা, পাট, শঙ্খ, মৃৎশিল্প ও ঝিনুকের সামগ্রী ইত্যাদি কারুপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
মেঘনা নদী ভ্রমণ
দুপুর গড়িয়ে বিকেল। আমরা চাইলাম মেঘনা নদীতে নৌকা ভাসিয়ে ঘুড়ে বেড়াতে। তাই রিক্সায় চেপে চলে গেলাম মেঘনা পাড়ে। সেখানে অসংখ্য ইঞ্জিন চালিত নৌকা রয়েছে। ভাড়া ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা নিবে। মাঝিরা অনেক বেশি ভাড়া চাইবে। কিন্তু আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে।
নৌকা ভাড়া করে মেঘনার উত্তাল ঢেউতে দোল খেতে খেতে চলে গেলাম মাঝ নদীতে। সে এক অন্য রকম অনুভুতি। জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছে। আপনি চাইলে সেখান থেকে তাজা তাজা মাছ কিনে আনতে পারবেন। এভাবেই নৌকার বুকে চেপে সন্ধ্যার রক্তিম আলো দেখতে দেখতে দিনের ভ্রমণ শেষ করলাম।
ঢাকার কাছাকাছি পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জায়গার মধ্যে অন্যতম সোনারগাঁও লোকশিল্প যাদুঘর ও পানাম সিটি। সপ্তাহিক যেকোন ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁও ও পানাম সিটি।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে উঠে নামবেন মোরগাপাড়া চৌরাস্তা। ভাড়া ৪০ টাকা। সময় লাগতে পারে ১ ঘণ্টা। তবে শুক্রবার ছাড়া অন্যদিন হলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা হাতে নিয়ে বেরুতে হবে। মোরগাপাড়া চৌরাস্তায় নেমে দেখবেন অটো দাঁড়ানো আছে। শেয়ারে জাদুঘর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা। অথবা গুলিস্তান থেকে চিটাগাং রোডের বাসে করে চিটাগাং রোড যাবেন। সেখান থেকে সিএনজিতে করে যেতে পারেন। সর্বোচ্চ ১২০ টাকা ভাড়া। আবার বাসে করেও যেতে পারেন। বাসে গেলে নামতে হবে পানাম নগর বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে রিক্সায় সোনারগাঁও জাদুঘর। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। মনে রাখবেন প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার জাদুঘর বন্ধ থাকে।
যাত্রা শুরুর আগে
আপনার ব্যক্তিগত ক্যামেরা/মোবাইল ফোন নিতে ভুলবেন না, কারণ সেখানে ছবি তোলার জন্য আলাদা করে তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা নেই। নিজের ছবি নিজেই তুলতে ব্যবস্থা রাখুন। তা না হলে পরে হতাশ হতে হবে।
যেহেতু সোনারগাঁও ঢাকা থেকে অনেকটাই নিকটবর্তী, চাইলে বাসা থেকে রান্না করে হটপটে করে খাবার নিয়ে যেতে পারেন। এতে খরচ কম হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের ও নিশ্চয়তা পাবেন।
//এআর
আরও পড়ুন