ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

হারিয়ে যেতে বসেছে কাঁসা-পিতল শিল্প (ভিডিও)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৩০, ২৪ মার্চ ২০২২

কাঁচামালের সংকট আর কারিগরের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কাঁসা-পিতল শিল্প। কাঁসা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কাঁচামাল পাচার হওয়ায় কারিগররা অন্য পেশায় চলে গেছেন। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শিল্পটি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তারা।

এরকম শব্দেই এক সময় ঘুম ভাঙতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামোশংকরবাটী, আজাইপুর, আরামবাগ, বটতলাহাট এবং সোনারমোড় গ্রামের মানুষের। মাঝের কয়েকটা বছর এই শব্দ অনেকটাই কমেছে। তিন দশক আগেও দিনভর কর্বব্যস্ত থাকতেন এলাকার কাসা-পিতলের কারিগররা। 

কারিগররা জানান, “প্লাস্টিকের পণ্য অনেক মূল্য দিয়ে কিনলেও ভেঙ্গে গেলে এর কোন মূল্য নেই। কিন্তু আমাদের এই জিনিসটা ২০ বছর, ৫০ বছর, ১শ’ বছর ব্যবহার করার পরও ৮০ শতাংশ দাম পাওয়া যায়।”

এ কাজে পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি কম। তারপরও পূর্ব-পুরুষের পেশা ধরে রেখেছেন অনেকেই।

কাঁসার বাসনপত্র তৈরির কারিগর জানান, “বয়স যখন ২৫ বছর তখন থেকেই এই পেশায় কাজ করছি। মজুরীটা বাড়াতে পারলে অনেকেই এই কাজটা করতো।”

কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাঁসা-পিতলের তৈরি জিনিসের দামও বেড়েছে। তাই কমেছে বিক্রি। এ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, “কাঁচামালের অভাবে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে এই জিনিসগুলোর ব্যবহারও দিন দিন কমছে।”

ঐতিহ্যবাহী শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে এই খাতে সরকারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান ব্যবসায়ীদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “এই প্রতিবন্ধকতার কারণেই কারিগররা ভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছে। আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্য কাঁসা-পিতলকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা।”

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ ধরনের বাসনের ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি রফতানির সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে আবারও কাঁসা-পিতল শিল্প আলোর মুখ দেখবে বলে মনে করছেন এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি