ঢাকা, সোমবার   ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

হারের বৃত্তেই সিলেট, প্লে-অফে বরিশাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

এবারের বিপিএলে হারের বৃত্ত থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারছে না সিলেট স্ট্রাইকার্স। অন্যদিকে সিলেটের টানা পঞ্চম হারের দিনে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১১৬ রানেই গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বরিশালকে। তামিম-মুশফিকের ৬০ বলে ৮১ রানের জুটিতে ২৪ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা

৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে রংপুর রাইডার্স। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ফরচুন বরিশাল। চিটাগং কিংসের পয়েন্ট ১০, তারা আছে টেবিলের তিন নম্বরে। আর চার নম্বরে থাকা খুলনার পয়েন্ট ৮। সমান পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান করছে দুর্বার রাজশাহী। ১০ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে ৬ নম্বরে ঢাকা ক্যাপিটালস। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।  

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং তাওহীদ হৃদয়। তবে উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি হৃদয়। ৭ বলে ৬ রান করে নাহিদুল ইসলামের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। দাউইদ মালান এদিন খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি। ৮ বলে ৯ রান করেই তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। সুমন খানের বলে আহসান ভাটির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ব্যাটার।

এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তার সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। দুজনের অনবদ্য ৮১ রানের জুটিতে ৪ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। ৫১ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩০ বলে ৪২ রানে।

মিরপুরে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি সিলেট। পাওয়ার-প্লে’র ৬ ওভারে ৩৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। জর্জ মুসসে, রনি তালুকদার, জাকির হাসান ও কাদিম এলেইনের মধ্যে কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। এরমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাদিম ফিরেছেন কোনও রান না করেই। 

নাহিদুল ইসলামও দলের হাল ধরতে পারেননি। আউট হয়েছেন মাত্র ৮ রান করেই। ফাহিম আশরাফের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। পঞ্চাশের আগেই ৫ উইকেট হারায় সিলেট।   

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আহসান ভাটির সঙ্গে ২৬ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন জাকের আলী। ২৯ বলে ২৮ রান করে নবির বলে মাহমুদউল্লাহ’র হাতে ক্যাচ ফেরেন আহসান ভাটি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকের আলীও। ১৯ বলে ২৪ রান করে জেমস ‍ফুলারের বলে নবির ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। 

তানজিম হাসান সাকিব টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ৮ বল, ১৩ রান করে রিশাদের বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক আরিফুল হকও ছিলেন ব্যর্থ। ১৩ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার ফাহিম আশরাফের বলে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ হয়ে ফেরেন। 

সবশেষ সুমন খানের উইকেটও শিকার করেন ফাহিম আশরাফ। ৭ বলে ৭ রান করা এই ব্যাটারকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। বরিশালের হয়ে ফাহিম আশরাফ নিয়েছেন ৫ উইকেট। মোহাম্মদ নবি ও জেমস ফুলার নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া রিশাদ পেয়েছেন এক উইকেট।  


এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি