হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে খাবেন সামুদ্রিক মাছ
প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
পুষ্টিগুণ বিচারে সামুদ্রিক মাছ কোনো অংশেই কম নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খাওয়া শুরু করলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। মূলত মাছ আমাদের শরীরে উপকারি কোলেস্টেরল এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
সামুদ্রিক মাছে রয়েছে চর্বি, খনিজ তেল, আয়রণ, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস পাওয়া যায়। তাই খাবারের রুটিনে নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ রাখা প্রয়োজন। এটি হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
সামুদ্রিক মাছ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ উপকার করে। ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন। এতে তাদের এ রোগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।
২) হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
আমেরিকান এক গবেষণা অনুসারে, টানা এক মাস সামদ্রিক মাছ খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই বহুদিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে আজ থেকেই প্রতিদিন মাছ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।
৩) দুর্বল স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে
প্রতিদিন সামগ্রিক মাছ খেলে শরীরে ডিএইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে দারুন কাজে দেয়। এই কারণেই তো যাদের পরিবারে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে সামদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
৪) মনকে চাঙ্গা করে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানাসিক চাপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মন এত মাত্রায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে দুঃখ ধারের কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাহলে নিয়মিত মাছ খেতে ভুলবেন না যেন!
৫) দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি যে যত মাছ খাবে, তত দৃষ্টিশক্তি ভাল হবে। এই ধরণাটি কিন্তু একেবারে ভুল নয়। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের শরীরে উপস্থিত ওমাগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বাস্তবিকই দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬) প্রস্টেট ক্যান্সার দূরে থাকে
প্রতিদিন যদি সামদ্রিক মাছ খাওয়া যায়, তাহলে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে হ্রাস পায়। তাই এই মরণ রোগ থেকে দূরে থাকতে রোজ সামুদ্রিক মাছ খাবেন।
৭) হাড় শক্ত করে
নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এ কারণে জয়েন্টের সচলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি হাড়ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে অস্টিও আর্থ্রাইটিস মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৮) গর্ভকালীন সময় মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে
গর্ভাবস্থায় বেশি করে সামদ্রিক মাছ খেলে এই সময় মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়। শরীরে ডি এইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত মানিসক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই।
কেএনইউ/