হার্ট সুস্থ রাখবে তিলের তেল
প্রকাশিত : ১২:৫৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৩৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
পুষ্টিগত গুণাগুণের কারণে ভোজ্য তেল হিসেবে তিলের তেল ব্যবহার হয়ে আসছে আদি কাল থেকেই। রান্না ছাড়াও শরীরে মাখার জন্যও এই তেলের রয়েছে আলাদা কদর।
এ তেল চুল পড়া কমায়, চুল পাকা রোধ করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন তিলের তেলে আরও কী কী গুণাগুণ আছে-
হাড়ের সুস্বাস্থ্য: তিলের তেলে রয়েছে জিংক, ক্যালসিয়াম এবং কপার। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে বা রান্না করলে হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। হাড়ের ক্ষয়রোধের পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিস রোধ করে। তিলের তেল হাড়ের জোড়ে সমস্যাজনীত বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতেও কাজ করে।
হার্ট সুস্থ রাখে: এ তেলে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকায় রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তরসে শর্করার পরিমাণও কমায় তিলের তেল। ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, সেসামোল যা জ্বালাপোড়া নিরোধক উপাদান।
দাঁতের ওষুধ: তিলের তেল দাঁতের পরিচর্যার `অয়েল পুলিং`-বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পদ্ধতিতে মুখে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে ১০ মিনিট ধরে কুলিকুচি করতে হয়। কুলি ফেলার সময় এই তেল মুখের সকল বিষাক্ত উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া বের করে আনবে। পাশাপাশি দাঁত ঝকঝকে করতেও তিলের তেল অত্যন্ত উপাকারী।
স্নায়ু সচল করে: তিলের তেল শরীরের ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি ইন্দ্রিয়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । এ তেল মানুষের আয়ূ বৃদ্ধি করে।
শরীরের রং উজ্জ্বল করে: তিলের তেল শরীরে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। শরীরের ছোট ছোট জীবাণূ দূর করে দেয়।
মানসিক সুস্বাস্থ্য: এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ‘টাইরোসিন’যা মানসিক অস্বস্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করে। তিলের তেল প্রয়োজনীয় এনজাইম ও হরমোন সরবরাহ করার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে মন-মেজাজ ভালো রাখে। মানসিক চাপ দূর করার একটি আদর্শ উপাদান। এ তেলে কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সূত্র: বোল্ড স্কাই।
/আর/এআর