হার্টকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন ৬ নিয়ম
প্রকাশিত : ১১:৩৪, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৮:১৬, ৭ জানুয়ারি ২০১৯
ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা গোটা পৃথিবীতেই বাড়ছে। আর হাত ধরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগ। তবে হৃদরোগ ঠেকাতে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনার হৃদযন্ত্র আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ ও সতেজ থাকবে।
ব্যায়াম
দিনের মধ্যে কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন ব্যায়ামের জন্য। খুব কঠিন শারীরিক কসরত বা যোগা না করতে পারলেও অন্তত হাঁটাহাঁটি, জগিং, দৌড়নো এ সবে সময় দিন। যারা সাঁতার কাটেন, তারা এই অভ্যাস বজায় রাখুন। তবে হার্টের রোগীরাও দিনে কতক্ষণ হাঁটবেন তা জেনে নিন আপনার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের থেকে। হাড়ের কোনও অসুখ থাকলে দীর্ঘক্ষণ হাঁটা মুশকিল। তাই তেমন কোনও অসুখ থাকলে হাঁটার পরিবর্তে কী কী ব্যায়াম করতে পারেন তা নিয়ে কথা বলুন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে।
ফ্যাট
ওজন বাড়ার ভয়ে ডায়েট থেকে অনেকে ফ্যাট বাদ দিয়ে দেন। নিজে নিজে ডায়েট বানানো আর নয়, বরং পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট করুন। শরীরের নানা কাজে উপকারী ফ্যাট কাজে আসে। কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সঙ্গে সমতা রেখেতাই ফ্যাটকেও রাখতে হবে ডায়েটে। বাদাম, ঘি, মাখন, চিজ, ডিম, নানা তেলযুক্ত মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এগুলো শরীরের নানা কাজে আসে। তাই এদের ঠিক কতটা পরিমাণ রাখতে হবে ডায়েটে, তা জেনে নিন।
কোলেস্টেরল
শরীরের কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেললেই হার্টকে অনেকটা সুস্থ রাখা যায়। তাই এড়িয়ে চলুন নারকেল তেল ও পাম তেলের রান্না, চর্বিযুক্ত রেড মিট, জাঙ্ক ফুড, সস ইত্যাদি। এ সব খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, ওবেসিটি ডেকে আনে। যা সরাসরি চাপ দেয় হার্টকে।
লবণ
হার্টকে সুস্থ রাখতে খাবারে লবণ কমিয়ে ফেলুন আজই। আজ পর্যন্ত যতটা লবণ খেতেন দিনে, তা থেকে দু’গ্রাম অন্তত কম খাওয়া শুরু করুন। লবণ যত কমাবেন, হার্ট তত ভাল থাকবে। খাবার পাতে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই সেই অভ্যাস ত্যাগ করুন।
ধূমপান
বিনা বাক্যব্যয়ে এই অভ্যাস তাড়াতে না পারলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের ক্ষতি রোখা কিন্তু মুশকিল হয়ে পড়বে। যতই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন না কেন, ধূমপানে ‘না’ বলতেই হবে। নিকোটিন যে পরিমাণ ক্ষতি করে হার্টের, ততটা আর কেউ করে না। একেবারে ছাড়তে না পারলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ধীরে ধীরে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পথে এগোন। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানকেও এড়িয়ে চলুন।
ঘুম
সারা দিন ব্যায়াম, ডায়েট, ধূমপানহীন জীবন না হয় কাটালেন, কিন্তু তার পরে দিনের শেষে ঘুমাচ্ছেন কতক্ষণ? শারীরিক কলকব্জাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দিলে কিন্তু হার্টের অসুখকে রুখতে পারবেন না। আট ঘণ্টা ঘুম প্রতি দিন সম্ভব না হলে, অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা বরাদ্দ রাখুন ঘুমানোর জন্য।
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//