হায়া সোফিয়ার বাসিন্দা ‘গ্লি’ আর নেই
প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ৮ নভেম্বর ২০২০
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আলোচিত হায়া সোফিয়ার বিখ্যাত বাসিন্দা ‘গ্লি’ আর নেই। গ্লি নামের ১৬ বছর বয়সী বিড়ালটি বেসরকারি পশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
শনিবার বিড়ালটির নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানায় ডেইলি সাবাহ। এদিকে ‘গ্লি’র মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়েরলিকায়া।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেন, ‘গ্লিকে হারিয়ে আমি মর্মাহত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে বেসরকারি পশু হাসপাতাল লেভেন্তে চিকিৎসাধীন ছিল হায়া সোফিয়ার গ্লি। তবে সে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে। আমরা তোমাকে ভুলবো না গ্লি।’
দর্শনার্থীদের প্রিয় হয়ে উঠে ধূসর রঙের শরীর ও সবুজ জ্বলজ্বলে চোখের গ্লি। গত ২০০৯ সালে হায়া সোফিয়া পরিদর্শনে এসে ‘গ্লি’র সঙ্গে ছবি তোলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। তখন এটি জাদুঘর ছিল।
জাদুঘরে রূপান্তর করার আগে হায়া সোফিয়া মসজিদ ছিল। চলতি বছর এটিকে ফের মসজিদে রূপান্তর করা হয়। মসজিদে রূপান্তর করার পরও ‘গ্লি’ হায়া সোফিয়ায় থাকবে বলে তখন তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানায়।
এই বিড়ালটি অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছে। এখানে আরো বিড়াল আছে, তবে সেগুলো এতটা বিখ্যাত নয়।
গত ১৬ বছর ধরে ‘গ্লি’ হায়া সোফিয়ায় বসবাস করে আসছিল। তারকা খ্যাতি পাওয়া হায়া সোফিয়ার বিড়ালটির ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ৩ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তার ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্টটি চার বছর ধরে চালান উমুত বাহচেচির নামের এক ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে ষষ্ঠ শতাব্দীতে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। এরপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল ওসমানী খেলাফতের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করেন বিজেতা সুলতান মাহমুদ ফাতিহ।
ওসমানী খেলাফতের বিলুপ্তি হলে ১৯৩৪ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। তবে এটি এখন ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।
এএইচ/ এসএ/