‘হিরোস অফ ২৪’দের মাঝে সেফটি নেটওয়ার্কের ঈদ উপহার বিতরণ
প্রকাশিত : ১৪:৩৫, ২৭ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৭, ২৭ মার্চ ২০২৫

সেফটি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের বীরদের অদম্য চেতনাকে সম্মান জানাতে "হিরোস অফ ২৪” গ্র্যান্ড ইফতার এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে।
মঙ্গলবার গুলশানের হোটেল লেকশোরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিদেশী কূটনীতিক, বিশিষ্ট সমাজ-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের জন্য আত্মত্যাগকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি সমর্থন জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তাঁর উপস্থিতি অনুষ্ঠানের জাতীয় গুরুত্বকে তুলে ধরে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে পাকিস্তান, সুইডেন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, কমোরোস দ্বীপপুঞ্জ এবং অস্ট্রেলিয়ার উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা এই মানবিক উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ার সর্ববৃহৎ আলোকচিত্র উৎসব ছবি মেলার পরিচালক, পাঠশালা ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী মোঃ শহিদুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার বিজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ এবং বাংলাদেশের সমাজ-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়িক নেতারা।
সেফটি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এস এম তাসদিদ সোয়াদ এই উদ্যোগের গভীর প্রভাব তুলে ধরে একটি আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার মাধ্যমে সমাজের প্রতি সেফটি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের অটল প্রতিজ্ঞার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে "নেক্সট জেন ভয়েসেস" নামে একটি নতুন যুব নেতৃত্ব সহযোগী সংস্থার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল গণঅভ্যুত্থানের দুর্লভ কিছু ছবি ও সংবাদপত্রের ক্লিপিংসের সমন্বয়ে একটি আবেগঘন ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং প্রদর্শনী। যখন দেশ সম্পূর্ণ অচলাবস্থার মধ্যে ছিল এবং গণমাধ্যম ছিল ব্ল্যাকআউটের শিকার, সেই সময়ের চিত্র তুলে ধরা হয়।
এলিট ফোর্স, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার দক্ষ নিরাপত্তা পেশাদাররা কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আন্দোলনের বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যা ছিল অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম।
আন্দোলনের সময় তার বিখ্যাত সালামের জন্য অমর হয়ে থাকা বীর সুজনের হাতে এলিট ফোর্সের পরিচালক শরীফ শাহাম আল ওয়াক্ফিন একটি মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেন। এছাড়াও, শহীদদের পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক চাকরি পান এবং বীর যোদ্ধারা জীবন ধারণের সহায়তা লাভ করেন।
এএইচ
আরও পড়ুন