হিলারির ইমেইল কেলেঙ্কারি তদন্তে গাফিলতি, এফবিআই প্রধান বরখাস্ত
প্রকাশিত : ১৪:৩০, ১০ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৭:০০, ১০ মে ২০১৭
হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের সুপারিশেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এদিকে বিষয়টিতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে ডেমোক্রেটরা। রাশিয়ার সাথে যোগসাজশের বিষয়টি ঢাকতেই এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তাদের।
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই প্রধানের পদ থেকে জেমস কোমিকে সরিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সহকর্মীদের এক সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় নিজের বরখাস্তের খবরটি পান কোমি। অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের স্পষ্ট সুপারিশের প্রেক্ষিতেই নেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত
হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয় কোমি’র বিরুদ্ধে। গেল সপ্তাহেও মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে এ ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছেন তিনি ; এমন অভিযোগ হোয়াইট হাউজের।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এফবিআইকে দেয়া তার চিঠিতে বলেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে তিনি একমত। জেমস কোমি আর এফবিআইকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নন। সেখানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে ডেমোক্রেটরা কোমিকে সরিয়ে দেয়া ভালভাবে নিচ্ছেনা। তাঁদের দাবি, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের সাথে রাশিয়ার যোগসাজশের অভিযোগ তদন্ত করছিল এফবিআই। আর থলের বিড়াল বেরিয়ে যাওয়ার ভয়েই কোমিকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। গোয়েন্দা কর্তারা বলছেন, কোমিকে বরখাস্তের বিষয়ে আগে থেকে কোন ইঙ্গিত পাননি তারা।
এফবিআই প্রধানের পদের মেয়াদ ১০ বছরের। তবে ৫৬ বছর বয়সী কোমি চার বছর দায়িত্ব পালনের পর বরখাস্ত হলেন। পরবর্তী দায়িত্ব কে পাচ্ছেন, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।
আরও পড়ুন