হু হু করে ঢুকছে পানি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২০, ৫ জুলাই ২০২৩
উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীতে। এতে পানি ঢুকেছে বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, তলিয়েছে রাস্তাঘাট। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন বন্যাকবলিতরা। বৃষ্টির পানিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে গাইবান্ধার শহর রক্ষা বাঁধে। তবে পানি বাড়েনি নেত্রকোণার নদ-নদীতে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্যমতে সুরমা ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হু হু করে ঢুকছে পানি। পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি। সুমরা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। অনেকে আবার গবাদি পশু নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
বন্যাকবলিতরা জানান, বাচ্চা-কাচ্চা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। হঠাৎ পানি বেড়ে গেছে, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই আমরা খুব কষ্টে আছি। চুলাও পানির তলে। তিন-চার দিন পানিতে থাকার পর আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি।
তবে বৃষ্টি কমায় স্বস্তি ফিরেছে নেত্রকোণায়। উজানের ঢলে কংস, ধনু ও উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার নিচ দিয়ে। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে সোমেশ্বরী নদীর পানি।
তবে নিম্নাঞ্চলের পানি না সরায় এখনও বিপাকে বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি হচ্ছে আর ঢলের পানি আস্তে আস্তে বাড়ছে।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে গাইবান্ধার শহর রক্ষা বাঁধের ২৬টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ধ্বসে শহর তলীয়ে যাওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা।
ভাঙা অংশে মেরামত কাজ চলছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাফিজুল হক বলেন, “বাঁধের অবস্থা ভালো, তবে কিছু কিছু জায়গায় কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
শহর রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
এএইচ
আরও পড়ুন