হুইসেল বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড ঝালকাঠির কাকনের
প্রকাশিত : ১১:২১, ১ জুন ২০২৩
বাংলা বিভিন্ন গানে ৫৭ সেকেন্ডের বেশি সময় হুইসেল বাজিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুললেন ঝালকাঠির ছেলে কুমার কাকন উজ্জ্বল।
ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে ‘লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল’ ক্যাটাগরিতে আবেদন করে সারা বিশ্বে প্রথম ‘ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অফ এক্সেলেন্সি’ রেকর্ডটি গড়েছেন কাকন।
ঝালকাঠি পৌর এলাকার সিটিপার্ক এলাকায় জন্ম নেয়া কুমার কাকন উজ্জ্বল (২৪) এর বাবা উত্তম কুমার রায় ঝালকাঠি পৌরসভায় চাকরিরত ও মা শিউলি রানী রায় পেশায় আইনজীবী। দুই ভাই-বোনের মধ্যে কাকন বড়।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি পাস করে কাকন বরিশাল সরকারি কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০১৮ সনে এইচএসসি পাস করে ২০২২ সালে ভারত সরকারের অধীনে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের জেইন ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োক্যেমিস্ট্রি জেনেটিক্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত কাকন ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর থেকে আবেদন করেন। পরবর্তীতে ওই বছর ১৪ ডিসেম্বর ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ হুইসেল বাজিয়ে ভিডিও পাঠানোর চিঠি দিলে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তা গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে এ বছর মার্চ মাসে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কুমার কাকন উজ্জ্বল হুইসেলে বিশ্বরেকর্ড গড়ার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও পদক-সার্টিফিকেট পান।
বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত কাকন সেলফোনে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘হুইসেল নিয়ে আমার পথচলা শুরু হয় ২০১৮ সালে। তখন দেখেছি মানুষ এটাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং পছন্দ করেছে। আর তখনই এটা নিয়ে আমার স্বপ্নটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। সেই থেকেই ইচ্ছে ছিল হুইসেলের মাধ্যমে বাংলা গানকে পুরো বিশ্বের কাছে কিভাবে তুলে ধরা যায়।
সে আরও জানায় ‘যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তাই হুইসেল আমার আয়ত্ত করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। আমি গর্বিত যে, বাংলা ভাষার গানকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পেরেছি এবং সেই বাংলা গানে হুইসেল বাজিয়ে এটির বিশ্বরেকর্ডের তালিকাভূক্ত করতে পেরেছি।’
ঝালকাঠি পৌরসভায় চাকরিরত কাকনের বাবা উত্তম কুমার রায় ও তার মা এড. শিউলি রানী রায় তাদের ছেলে পড়ালেখার পাশাপাশি হুইসেল বাজিয়ে গান তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। তারা জানান, পরিবারের সবাই ও স্বজনরা খুশি ও আনন্দিত।
বর্তমানে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অবস্থানরত কাকন দেশের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত রয়েছেন।
এএইচ
আরও পড়ুন