‘হুমকিতে নিরাপত্তা শঙ্কায় কোটা আন্দোলনকারীরা’
প্রকাশিত : ১৬:১৩, ১৯ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৪১, ১৯ মে ২০১৮
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকিতে নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন বলে দাবি করেছে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা শিক্ষার্থীদের জিডি পুলিশ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেনি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা এ আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন দেখছি না। বরং দেখা যাচ্ছে একদিকে সরকার আমাদের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে, আশ্বাস দিচ্ছে, অন্য দিকে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন ভাবে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র ছাত্রীদের হুমকি দিচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
নুরুল হক নুর দাবি করেন, ১৬ মে রাতে তার রুমে হামলা করা হয়। নিরাপত্তাহীণতায় ভুগে তিনি শাহবাগ থানায় জিডি করতে যান। শাহবাগ থানায় ডিউটিরত কর্মকর্তা তার জিডি নেননি, বরং তিনি বলেন জিডি নিতে হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে এবং তিনি জানাবেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমাদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
নুরুল হক নুর এ সময় বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ নং অনুচ্ছেদে সব নাগরিকের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের জন্য নয় বরং দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাজনক।
২৫ শিক্ষার্থী কারণ দর্শানোর সমালোচনা করে নুরুল হক নুর বলেন, ৯ এপ্রিল রাতে সুফিয়া কামাল হলে যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর নিজেরা বলেছেন এশা নির্যাতনকারী। সে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। তার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার ও ভিসি স্যার তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু কী অদৃশ্য কারণে রাতের বেলা যে কথা বলেছেন সকাল বেলা সে কথাকে ঘুরিয়ে নিয়ে বললেন, না এটা সে করেনি। বরং দেখলাম এশাকে হেনস্থা করার অভিযোগে ২৫ জন ছাত্রীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ওই শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিয়েছে।
নুরুল হক নুর বলেন, বলা হচ্ছে অসত্য ও গুজব ছড়ানোর জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দিচ্ছে ছাত্রীরা। আমি বলব, ছাত্রীরা যদি গুজব ছড়ায় তাহলে আমাদের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার ও প্রক্টর স্যার গুজবের মহানায়ক। তারা সব মিডিয়ায় শিকার গিয়েছিলেন যে, এই ছাত্রী নির্যাতন করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কার করেছে। প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা প্রতিষ্ঠাণ সত্য তথ্য উদঘাটন না করে কিসের ভিত্তিতে সেদিন বহিষ্কার করেছিল? নাকি ভিসি স্যার ও প্রক্টর স্যার কোনো বিশেষ মহলের চাপে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করছে তা জাতির সামনে পরিষ্কার করতে হবে।
/আআ/ এআর
আরও পড়ুন