ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হুয়াওয়ে ও জিটিই’র ৫জি নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ২৪ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অস্ট্রেলিয়ায় পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি সেবা প্রদানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এই অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। একই কারণে নিষিদ্ধ হয় আরও এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জিটিই।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। টুইটারে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “গ্রাহকদের জন্য এই সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক”।

ফাইভ-জি হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্কের সর্বশেষ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অন্য এক মাত্রা পাবে। ফাইভ জি’র মাধ্যমে আরও বড় পরিসরে উন্নত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা যায়।

বিগত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ফাইভ-জি চালু করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর সেসব দেশে ফাইভ-জি’তে বিনিয়োগ করছে হুয়াওয়ে এবং জিটিই’র মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানেরা। বাংলাদেশেও ফাইভ-জি চালুতে বিনিয়োগ শুরু করেছে হুয়াওয়ে। গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ফাইভ-জি চালুর জন্য পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করে হুয়াওয়ে।

তবে নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের আগে দুই একটি দেশ হয়তো সীমিত পরিসরে ফাইভ-জি চালু করতে পারবে। প্রযুক্তি বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানক কানেকটিভিটিএক্স এর মার্ক নিউম্যান বলেন, “ভবিষ্যতের মোবাইল অবকাঠামো উন্নয়নে ফাইভ-জি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এখন যারা এ নিয়ে কাজ করছে তাদেরকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তা তাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতিই এনে দিবে”।

এতকিছুর পরেও, ফাইভ-জি চালুকরণে হুয়াওয়ের বিনিয়োগে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকিতে আছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাজ্যের একটি নিরাপত্তা কমিটি গত জুলাইতে জানায়, হুয়াওয়ের পণ্যে জাতীয় নিরাপত্তায় কোন ঝুঁকি থাকবে না তার নিশ্চয়তা খুবই সামান্য।

আর জিটিই সম্পর্কেও প্রায় একই রকমের প্রতিবেদন দেয় দেশটির জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কেন্দ্র। নিউম্যান বলেন, “আমরা যখন ফাইভ-জি’তে প্রবেশ করব তখন নেটওয়ার্কে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত কাজের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। তাই এসব সফটওয়্যার কারা আর কোথা থেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন তা নিয়ে ব্যাপক চিন্তাভাবনার দরকার আছে”।

গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়েকে দেশটিতে ফাইভ-জি সেবা চালুকরণ সংশ্লিষ্ট কাজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। চীনের দিকে ইঙ্গিত করে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাহ্যিক রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানকে এমন কাজে সুযোগ দিলে নিরাপত্তার প্রশ্ন থাকে।

এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সরকারি কাজের টেন্ডারগুলোতে অংশ নিতে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। দেশটির অভিযোগ চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। চীনের আইন অনুযায়ী, দেশটির সকল প্রতিষ্ঠান সেখানকার গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সব ধরণের সহযোগিতা করতে বাধ্য। যে কারণে বিশ্বের অনেক দেশই মনে করে, চীনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারে চাইনিজ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আর এ কারণে হুমকিতে পরতে পারে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

চীনের উদ্বেগ

হুয়াওয়ে এবং জিটিই’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় উদ্বেগ জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন যে, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে অস্ট্রেলিয়ার এমন অজুহাত তৈরি করা উচিত নয়। জাতিগত দ্বন্দ্ব ভুলে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে চাইনিজ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমান সুযোগ দিতে আহ্বান জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

//এস এইচ এস//

 


 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি