হেফাজতের তাণ্ডবের ৭ বছর আজ
প্রকাশিত : ০৯:১১, ৫ মে ২০২০ | আপডেট: ০৯:১৫, ৫ মে ২০২০
আজ ৫ মে। ২০১৩ সালের এই দিনে ১৩দফা দাবিতে ঢাকা অবরোধ করে রাজধানীতে ব্যাপক তাণ্ডব চালান হেফাজতের কর্মীরা। রাজধানীর মতিঝিল ছাড়াও দেশের কয়েকটি স্থানে সহিংসতা হয়। এসব ঘটনায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারা দেশে ৭০টি মামলা হয়।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক ইসলাম অবমাননা প্রশ্নে ‘হেফাজতে ইসলাম’ মাঠে নামে। এরপরই ধর্মনির্ভর সংগঠনটি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে মাঠে নামে। ওই বছরের ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচি দিয়ে তারা আলোচনায় আসে। পরের মাসেই (৫ মে) ঢাকা ঘেরাও এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে বসে সংগঠনটি।
অভিযোগ রয়েছে, হেফাজতের ওই কর্মসূচিতে নেপথ্যে থেকে ইন্ধন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানে মধ্যরাতের অভিযানে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ওই বছরের ৫ মে ঢাকার ছয়টি প্রবেশমুখে অবরোধ করে হেফাজত। পরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় হেফাজতের বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারা রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত যানবাহন ভাঙচুর করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। আজ সেই ভয়াবহ ঘটনার সাত বছর পূর্ণ হচ্ছে।
সাত বছর আগের সেই তাণ্ডবের কথা স্মরণে এখনও ঢাকার মানুষ আঁতকে ওঠেন। তবে ওই ঘটনায় দায়ের মামলাগুলোর মধ্যে ৬২টির তদন্ত কার্যক্রম ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে। হামলা, ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগে জড়িতরা প্রকাশ্যে থাকলেও তাদের রহস্যজনক কারণে আইনের আওতায়ও নেওয়া হচ্ছে না।
পুলিশ সূত্র জানায়, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় সারাদেশে মোট ৮৩টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে বাগেরহাটের একটি মামলার বিচার শেষ হয়েছে। রায়ে সব আসামি খালাস পেয়েছেন। দুটি মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এর বাইরে ১৮ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়নি। অন্য ৬২ মামলার তদন্ত কাজ একেবারেই থেমে আছে।
এসএ/