হ্যাকিংয়ের শিকার হলে স্বীকার করতে হবে
প্রকাশিত : ১৭:১৫, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭
হ্যাকিংয়ের শিকার হলে অনেকেই লজ্জায় বা খ্যাতি নষ্ট হতে পারে এই আশঙ্কায় তা স্বীকার করেন না। এতে অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হয় বলে মনে করেন আইটি বিশেষজ্ঞ আজাদুল হক। তাই, হ্যাকিংয়ের শিকার হলেই তা স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান ‘হোস্টন’ এর কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আজাদুল হক।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’ এর তৃতীয় দিনে সম্মেলন কেন্দ্রের ‘সেলিব্রিটি হলে’ আয়োজিত ‘সাইবার সিকিউরিট ফর পাবলিক সার্ভিস’ বিষয়ে বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সচেতনতা ছাড়া হ্যাকিং প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, হ্যাকিংয়ের স্বীকার হওয়ার অন্যতম কারণ অসচেতনতা। ইন্টারনেট দুনিয়ার ডার্ক ওয়েব প্রসঙ্গে ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন,আমরা সাধারণভাবে ইন্টারনেটের মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহার করি। বাকি ৯৭ শতাংশ-ই ডার্ক ওয়েব। কেউ জেনে বা না জেনে প্রবেশ করলেই হ্যাকিং হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে হ্যাকারদের জন্য একটি দরজা খুলে যায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে হ্যাকিং প্রতিরোধে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর জোর দেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন, তাঁরা অবশ্যই এটা নিরাপদে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। না জেনে হুটহাট ইন্টারনেট সাইটগুলোতে অ্যাক্সেস না করলেই হ্যাকিং কমানো যাবে বলে মত দেন তিনি।
সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং হ্যাকারদের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সার্বক্ষণিক সাইবার তদারকি দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুধু ব্যক্তি পর্যায়েই না বরং জাতীয় পর্যায়েও বাংলাদেশের একটি স্থির, নির্দিষ্ট এবং শক্তিশালী অবকাঠামোর তাগিদ দেন তিনি। অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, হ্যাকিংরোধে বাংলাদেশিদের জন্য বিনামূল্যে অ্যান্টিভাইরাস থাকা দরকার।
এমজে/এমজে/
আরও পড়ুন