১১ ডিসেম্বর : কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস
প্রকাশিত : ১০:০৬, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
১১ ডিসেম্বর। কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত হয়। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পাঁচ দিন আগেই এখানকার মুক্তিকামী মানুষ বিজয়ের স্বাদ পান। স্বজনের গলিত লাশ আর সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের আর্তনাদ ভুলে সেদিন বিজয়ের আনন্দে মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ মাসজুড়েই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল লড়াই চলে। বংশীতলা, চৌড়হাস ও বিত্তিপাড়াসহ কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদাররা ৬০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর দু’হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করে। তবে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই পাক হানাদারবাহিনী কুষ্টিয়ায় চরম প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ ভোরে মুক্তিবাহিনী কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পাক হানাদার ক্যাম্পে হামলা করে। এ যুদ্ধে নিহত হয় অসংখ্য পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ১ এপ্রিল রাতের আঁধারে পাকবাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমবারের মতো মুক্ত হয় কুষ্টিয়া।
পরবর্তী সময়ে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন হয়। এর পর থেকে দফায় দফায় প্রচণ্ড বিমান হামলা করে পাকবাহিনী আবারও কুষ্টিয়া দখলে নিয়ে বাঙালী নিধন আর গণহত্যার উৎসবে মেতে উঠে। তবে ৬ ডিসেম্বর তিন দিক থেকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা হানাদারমুক্ত হতে থাকে। ৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহর ছাড়া অন্যান্য এলাকা শত্রুমুক্ত হয়। তুমুল যুদ্ধ করে ১১ ডিসেম্বর শহরসহ কুষ্টিয়া জেলা পুরোপুরি হানাদারমুক্ত হয়।
এসএ/