ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

১১ তলা ভবন গায়েব (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৯:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

১১ তলা সেই ভবনটি

১১ তলা সেই ভবনটি

ভবনটি ১১ তলা। অনেককেই ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনও দেয়া হয়েছে। অথচ পাঁচ বছর পর সেই একই জমি নাল হিসেবে রেজিস্ট্রি হলো। সরকার নির্ধারিত ফি ফাঁকি দিতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের যোগসাজশেই অবৈধ কাজটি হয়েছে। 

রাজধানীর ভাটারার পশ্চিম ঢালী বাড়ীর ১১ তলা এই ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। ২০০৫ সালে ২৬ শতাংশ জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেওয়া হয়। 

২০১৩ সালে ভবনটি উঠে যাওয়ার পর বেশ কিছু ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়। ২০১৫ সালে ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। একই ব্যক্তি ২০২০ সালে সরকারি ফি ফাঁকি দিতে নিয়েছেন নাল জমির রেজিস্ট্রেশন।

আদতে ১১ তলা ভবন, কিন্তু কাগজে হাওয়া। রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে নাল জমি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। যেখানে একই ব্যক্তি দলিলদাতা ও গৃহীতা। ১১ তলা ভবনের ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হলেও সেই একই জায়গা কিভাবে নাল রেজিস্ট্রি হলো?

অভিযোগকারী মামুনুর রশিদ জানান, এটা নাল জমি না, এটা ১০তলা বিল্ডিং। এটি নির্মাণের কাজ ২০০৫ সালে শুরু হয়। বিল্ডিংয়ের জমি নাল জমি হিসেবে দেখানো কি জালিয়াতি নয়? আরেক অভিযোগকারী ইঞ্জিনিয়ার শামিমুল ইসলাম বলেন, আমরা ২০ জন মালিক, যে যার ফ্ল্যাটে উঠে গেছি।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০০৫ সালে জমিটির দলিল করা হয় মুফতি আতাউর রহমানের নামে। গত এপ্রিলে করোনায় মারা যান তিনি। তার কোনও ছেলে না থাকায় অন্য অংশীদাররা মিলে ২০০৫ সালের একটি নোটারি দেখিয়ে ভবনটিকে নাল জমি হিসেবে রেজিস্ট্রি করে নেন।

কিন্তু কিভাবে এই বহুতল ভবনটি নাল জমি হলো? এর সদুত্তর মেলেনি।

দলিল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আব্দুর রহমান বলেন, যেহেতু এই জমির দলিলে আপনার নাম নেই, তাহলে ফ্ল্যাট করবেন কিসের উপর, দেখাবেন কিসের উপর। এই জন্য দলিলটার মূলে আমাদের নামটা নেওয়া হয়েছে। তবে মূল মালিকের ভাইয়ের দাবি, জালিয়াতি করে জমি গ্রাসের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এএইচ/এমবি/এনএস


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি