১২ ডিসেম্বর অধিকাংশ এলাকাই হাতছাড়া হয় পাকিস্তানিদের
প্রকাশিত : ১২:৪৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
১২ই ডিসেম্বর, ১৯৭১। পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ এলাকাই তখন হাতছাড়া পাকিস্তানীদের। এই সময়ে পাকিস্তানের পরাজয় ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে, দেশ দু’টির সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতসহ বাংলাদেশের মিত্র দেশগুলো। ২৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পেশাজীবী এবং বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু করে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা।
চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন বীর বাঙালী। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গোপসাগর থেকে ২৪ ঘণ্টার দুরত্বে নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকে মার্কিন সপ্তম নৌবহর।
অভিষ্ট আনন্দ আর অজানা আশঙ্কার দোলাচলে সেদিন ঢাকাবাসী। এদিন ঢাকা থেকে কোন পত্রিকা প্রকাশিত না হলেও মাওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থনের জন্য ভারত সরকার এবং সে দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
একাত্তরের এইদিনে শক্রুমুক্ত হয় গাইবান্ধা, নরসিংদী, সরিষাবাড়ী, ভেড়ামারা, শ্রীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।
এদিকে, পরাজয় নিশ্চিত জেনে কারফিউ জারি করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর হাতে দেশের মেধাবী সন্তানদের একটি তালিকা তুলে দেয় রাও ফরমান আলী। তালিকা অনুযায়ী, বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা।
এদিকে, ঢাকা বিজয়ের জন্য পাকিস্তানি হানাদারদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। অস্ত্র খালাসতো দূরের কথা, তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতেই মরিয়া পাকিস্তানি সৈন্যরা।
/এমআর