১২ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট অর্থনীতি সমিতির
প্রকাশিত : ১৫:৩০, ২৬ মে ২০১৮
আসন্ন ২০১৮-’১৯ অর্থবছরের জন্য ১২ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ জাতীয় অর্থনীতি সমিতি। যা গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় তিনগুণ। গত অর্থবছরে সরকারের মোট বাজেট ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেট প্রস্তাবনা ২০১৮-১৯’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত বাজেট মোট রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দের প্রায় ৮১ শতাংশের যোগান দিবে সরকারের রাজস্ব খাত। বাকি ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা (১৯ শতাংশ) ঘাটতি দেখানো হয়েছে। আর এ ঘাটতি মেটাতে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ অংশিদারিত্বের ওপর নির্ভরের কথা বলা হয়েছে।
বাজেটে সর্বোচ্চ খাতওয়ারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষাখাতে। এখানে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। এরপর পর্যায়ক্রম বেশি বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। জনপ্রশাসন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৮ হাজার কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত। সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ। তাছাড়া সম্মেলনটি ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, নড়াইল, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ নয়, কমপক্ষে ১ কোটি ৭৫ লাখ, বাজেট হতে হবে কর্মসংস্থানমুখী। তাছাড়া দেশের সুপার ধনিক শ্রেণীর নিয়ন্ত্রণে ৯০ শতাংশ সম্পদ। এছাড়াও দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়াও সর্বোচ্চ ঋণখেলাপীদের ১০০ জনের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে অর্থনীতি সমিতি। দেশ থেকে প্রতি বছর ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয় বলে দাবি করা হয়।
দেশে ১ কোটি টাকা করযোগ্য মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ৫০ হাজার, উদ্যোগ নিলে এখান থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা আদায় সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতি সমিতির নেতারা।
দেশে পুঞ্জিভূত কালোটাকার পরিমাণ ৫ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকা, এই অর্থ নিয়ন্ত্রণে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী এ অর্থবছরের ৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন।
আরকে// এআর
আরও পড়ুন