মায়ের মস্তিষ্কের মৃত্যু
১২৩ দিন পর যমজ শিশুর জন্ম
প্রকাশিত : ১০:৫১, ১৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩১, ১৩ জুলাই ২০১৭
গত বছর অক্টোবরে ‘সেরিব্রাল হেমারেজে’ আক্রান্ত হয়ে ফ্রাঙ্কলিন জাম্পোলি পেডিলহার মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়ে। সেই সময় পেডিলহার গর্ভের যমজ সন্তানের বয়স মাত্র দুই মাস। স্ত্রীকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন ২৪ বছর বয়সী মুরিয়েল প্রেডিলহা। চিকিৎসকেরাও নিরাশ করেননি। এরপর ১২৩ দিন মায়ের গর্ভেই বেড়ে ওঠে শিশু দু’টি। পৃথিবীর আলো দেখে ওই দুটি শিশু। এমনই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে।
চিকিৎসক ডালটন রিভাবেমের নেতৃত্বে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চলতে থাকে ফ্রাঙ্কলিন পেডিলার চিকিৎসা। গর্ভে নিশ্চিন্তে শিশু দুটি বেড়ে ওঠার জন্য যা করা দরকার হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা, কর্তৃপক্ষ তাই করেছেন।
বিশেষ প্রক্রিয়ায় শিশুদের সরবরাহ করা হয় খাবার ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পেলিার সাত মাসের গর্ভাবস্থায় অস্ত্রোপচারে জন্ম হয় এক ছেলে ও এক মেয়ে শিশুর। জন্মের সময় বোন অ্যানা ভিক্টোরিয়ার ওজন ছিল এক কেজি ৪০০ গ্রাম আর ভাই আসাফের এক কেজি ৩০০ গ্রাম। দুই মাসের চিকিৎসার পর মে মাসে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে অ্যানা ও আসাফ।
ভেন্টিলেশন থেকে বের করে ফ্রাঙ্কলিন পেডিলার কিডনি আর হৃৎপিণ্ড দান করা হয়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় প্রায় পুরো ব্রাজিল। ওই দম্পতির ইসা বিয়েট্রিস নামে দুই বছর বয়সী আরও একটি মেয়ে শিশু রয়েছে।
মুরিয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, পেডিলার যখন সেরিব্রাল হেমারেজে (মস্তিষ্কের মৃত্যু) আক্রান্ত হয়, তখন আমি বাগানে গাছের পরিচর্যা করছিলাম। পেডিলা ফোনে জানায়, ওর মাথা অসহ্য যন্ত্রণা করছে। এখনই পড়ে যাবে, আমি যেন বাড়ি ফিরে আসি।
পেডিলাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিন দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হয় তার মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। শিশু দুটির আশা চিকিৎসকেরা ছেড়েই দিয়েছিলেন। মুরিয়েলের অনুরোধে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে চমকে ওঠেন চিকিৎসকেরা। কারণ তখনো বেঁচে রয়েছে ভ্রূণ দুটি। মুরিয়েলের অনুরোধে তখনই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন শিশুদের বাঁচাতে করণীয় সব করা হবে।
এর আগে পর্তুগালেও ১০৭ দিন গর্ভাবস্থায় শিশুর জন্মদানে সহায়তা করেছিলেন চিকিৎসক ডালটন রিভাবেম। সূত্র: ডেইলি মেইল।
//আর//এআর
আরও পড়ুন