ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

১৫ই আগস্ট শেখ রাসেলকেও বাঁচতে দেয়নি ঘাতকরা

প্রকাশিত : ১০:৩০, ১৪ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১০:৩০, ১৪ আগস্ট ২০১৬

পনেরো আগস্ট বাঙালির মুক্তির ঠিকানা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে আক্রমণ চালিয়ে জাতির জনকের ছোট ছেলে নিষ্পাপ রাসেলকেও বাঁচতে দেয়নি ঘাতকরা। শিশু রাসেল বার বার মায়ের কাছে যেতে চাইছিলো। ঘাতকরা মায়ের কাছে নিয়েই হত্যা করেছিলো বঙ্গবন্ধুর আদরের রাসেলকে। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো ৩২ নম্বর বাড়িটি। শেখ রাসেল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ছোট ছেলে। পরিবারের সবার ছোট বলেই ছিলেন সবার আদরের। বাসায় ফিরে ঘরে ঢুকে বাবা শেখ মুজিব, প্রথমেই খুঁজতেন রাসেলকে। রাসেল, রাসেল বলে ভরাট কণ্ঠে ডাক দিতেন নাম ধরে। রাসেলও প্রচন্ড ভালোবাসতেন বাবাকে। বাবাকে কাছে পেয়ে উঠে পড়তের কোলে। বঙ্গবন্ধুও তাকে কোলে নিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতেন পরম আদরে। বাবার সাথে তার খুব ভাব। বাবাকে পেলেই রাজ্যের যত গল্প। রাসেলের কথা বলার ভাষা শুনে বাবা হেসে উঠতেন। পিতা-পুত্রের আনন্দঘন আড্ডায় পুরো বাড়ি যেন স্বর্গ হয়ে উঠত। মাত্র ১০ বছর বয়সী ফুটফুটে নিষ্পাপ রাসেলও রেহাই পায়নি ঘাতকদের নির্মমতা থেকে। খুনিরা যখন বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করছে, সেসময় শিশু রাসেল রমার হাত ধরে দাড়িয়ে ছিলেন ৩২ নম্বরের বাড়ির নিচতলায়। মুর্হুমুর্হু গুলির শব্দে বারবার আঁৎকে উঠছিলেন রাসেল। বার বার বলছিলেন মায়ের কাছে যাবো। শিশু রাসেলকে বাঁচতে দেয়নি হায়নারা। তার নিথর দেহটি পড়ে ছিল মায়ের কাছেই। কি দোষ ছিল শিশু রাসেলের? কতোটা জঘন্য কতোটা পাশবিক হলে এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে? শক্তি সঞ্চয় করেই জাতি এই শোক বহন করে যাচ্ছে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি