ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

১৮ বছর বন্য জীবন এবং অতপর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৯, ২৮ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৪৮, ৩০ আগস্ট ২০১৮

একটি দ্বীপে একজন একাকিনী! এক-দু’টো বছর নয়, আঠেরো বছর। এটি কোন কল্পকাহিনী নয়, একেবারেই বাস্তব ঘটনা।

যে ঘটনা অবলম্বনে পরবর্তীকালে উপন্যাসও লেখা হয়েছে। দেড়শো বছরেরও আগের এই ঘটনা আজও চমকে দেয় সারা পৃথিবীর মানুষকে।

সেই একাকিনী নারীর নাম জুয়ানা মারিয়া। তবে এই নাম তার আসল নাম নয়। সভ্য সমাজে এই নাম পেয়েছিলেন তিনি। তবে তার আসল নাম কী ছিল, তা জানা যায় না।

কে এই জুয়ানা মারিয়া? তার গল্প শুনে মনে পড়ে যেতে পারে বিখ্যাত রবিনসন ক্রুসোর কথা। একলা দ্বীপে তার অভিযানের গল্প সারা বিশ্বের প্রিয়। তবে ওই কাহিনি আসলে লেখা হয়েছিল এক পথ হারানো নাবিকের জীবন অবলম্বনে। যেমন মারিয়া জুয়ানার জীবন অবলম্বনে লেখা উপন্যাসের নাম ‘আইল্যান্ড অফ দ্য ব্লু ডলফিনস’।

একা থাকতে থাকতে মানুষের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন জুয়ানা।

সান নিকোলাস দ্বীপ হল ক্যালিফোর্নিয়ার নির্জন এক দ্বীপ। সেখানে বাস করত নিকোলেনো উপজাতি সম্প্রদায়। ১০ হাজার বছর ধরে ওই দ্বীপে তারা বাস করলেও ক্রমে তাদের সংখ্যা কমতে থাকে।

শেষে ১৮৩৫ সালে দ্বীপের অবশিষ্ট বিশজন অধিবাসীকে একটি বোটে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু খানিক বাদেই দেখা যায়, দু’জন নেই। এই দু’জনের একজন মারিয়া।

অন্যজন তার দু’বছরের পুত্র সন্তান। এমনও শোনা যায়, ছেলে হারিয়ে যাওয়ার কারণেই তাকে খুঁজতে বোট থেকে নেমে পড়েন মারিয়া।

ঠিক কী হয়েছিল তা আর জানা যায়নি। কেননা, ১৮ বছর পরে ১৮৫৩ সালে যখন সন্ধান মেলে মারিয়ার, ততদিনে তার সভ্যতার সঙ্গে সব যোগসূত্র কেটে গেছে।

তবে আকারে ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়েছিলেন, তার ছেলে বুনো কুকুরের শিকারে পরিণত হলেও তিনি একাই ওই দ্বীপে বেঁচেছিলেন প্রবল সংগ্রাম করে।

তিমির হাড় দিয়ে তৈরি করেছিলেন তার বাড়ি। সিল মাছ, বুনো পাখি মেরে ক্ষুণ্ণিবৃত্তি করতে হয়েছে তাকে।

সভ্য দুনিয়ায় ফিরে সাত মাসের বেশি বাঁচেননি মারিয়া। সমস্ত রহস্য নিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন এক অন্য দুনিয়ায়। যেখানে সবাইকেই একা যেতে হয়।

সূত্র: এবেলা

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি